Nirmala Sitharaman Replies to Manmohan Singh: ‘আপনার থেকে এটা আশা করিনি’, মনমোহনকে আর্থিক মন্দার কথা মনে করালেন অর্থমন্ত্রী
Nirmala Sitharaman Replies to Manmohan Singh: সরকারের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি বলেছেন, "চিন আমাদের সীমান্তে বসে আছে আর এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র"।
নয়া দিল্লি: পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন চলার সময়ই সরকারের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং(Manmohan Singh)। তিনি বলেছেন, “চিন আমাদের সীমান্তে বসে আছে আর এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র”। এবার পাল্টা জবাব দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফেও। বৃহস্পতিবারই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) মনমোহন সিংকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনার কাছ থেকে এই ধরনের কথা আশা করিনি।”
গতকালই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মোদী সরকারকে অর্থনীতি সহ একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি সরকার দেশের অর্থনীতি বা বিদেশনীতি সম্পর্কে কিছুই বোঝেন না। কেন্দ্র যে নীতি অনুসরণ করে চলছে, তাতে ধনীরা আরও ধনী এবং দরিদ্ররা আরও গরিব হচ্ছেন।”
নেহেরুকে দোষারোপ করার প্রসঙ্গেও তিনি আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “সাড়ে সাত বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পর সরকার নিজেদের ভুল স্বীকার না করে আজও সেই নেহেরুকেই দোষ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পদের একটা নিজস্ব মর্যাদা আছে। নিজেদের ভুলের জন্য ইতিহাসকে বারবার দোষ না দিয়ে মর্যাদা বজায় রাখা উচিত”।
মনমোহন সিংয়ের এই সমালোচনার জবাবেই বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁকে “ফ্রাজাইল ফাইভ”-র কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা ও মুদ্রাস্ফীতির কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, “আপনাকে অনেক সম্মান করতাম। আপনার কাছ থেকে এটা আশা করিনি। অত্যন্ত দুঃখ পেলাম।”
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েই তিনি বলেন, “আমার মনে একটাই প্রশ্ন জাগছে যে হঠাৎ তিনি কেন অর্থনীতি নিয়ে কথা বলছেন। সামনেই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন থাকার কারণেই কি এই উপলব্ধি হল!”
মোদী সরকারের সঙ্গে মনমোহন সিংয়ের সময়কালে দেশের রফতানি, বিদেশী বিনিয়োগ ও মুদ্রাস্ফীতির তুলনামূলক আলোচনাও করেন তিনি এবং বর্তমান সময়েই যে দেশের অর্থনীতির উন্নতি হয়েছে, তা উল্লেখ করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, “মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনে রাখার অন্য়তম কারণ হল মাত্র ২২ মাসেই মুদ্রাস্ফীতি দুই সংখ্যায় পৌঁছে গিয়েছিল।”
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে একটি সমীক্ষায় বিশ্বের যে ৫টি দেশকে ‘ফ্র্যাজাইল-৫’ বা ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেই তালিকায় ছিল ভারতের নাম। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, বিশ্বের এই ৫টি দেশের অর্থনীতি বিদেশি অর্থের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে কথাই মনে করিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Hijab Row: ‘ইন্ধন জোগাচ্ছে কংগ্রেসই’, হিজাব বিতর্কে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও