Uddhav Thackeray: ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া…’, শাহকে কটাক্ষ উদ্ধবের, ৯৩-র ইতিহাস টেনে বাবার ভঙ্গিতেই দিলেন হুঁশিয়ারি
Uddhav Thackeray Attacks Amit Shah: রবিবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "একসময়ে জনসভায় সাধারণ মানুষ মোদীর মুখোশ পরত। আজ খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীই বালাসাহেব ঠাকরের মুখোশের পিছনে পড়ে রয়েছেন।"
মুম্বই: দল-প্রতীক হারিয়ে বেজায় খাপ্পা শিবসেনার(Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। আক্রমণ করতে শুরু করেছেন নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) ও বিজেপিকে। শনিবারই তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী মোদীর দাস হয়ে গিয়েছে”। রবিবার আক্রমণ আরও ধাপ চড়িয়ে এবার উদ্ধব ঠাকরে বললেন, “মোগাম্বো খুশ হুয়া”। মিস্টার ইন্ডিয়া সিনেমার বিখ্যাত সংলাপ শুনিয়েই তিনি আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-কে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)-কেও আক্রমণ করে তিনি বলেন, “১৯৯৩ সালে সিরিয়াল বিস্ফোরণের সময় শিব সৈনিকরাই মুম্বইকে রক্ষা করেছিল। যারা আজ হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলছেন, সেই সময় কোথায় ছিলেন তাঁরা? আজ তাঁরা ৫৬ ইঞ্চির ছাতি নিয়ে বড়াই করেন, তখন কোথায় ছিল এই ৫৬ ইঞ্চির ছাতি? উনি তো তখন ঘামছিলেন।”
শিবসেনার নাম-প্রতীক হাতছাড়া হওয়ার পরই বিজেপিকে নিশানা করতে শুরু করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রবিবারও সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “একসময়ে জনসভায় সাধারণ মানুষ মোদীর মুখোশ পরত। আজ খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীই বালাসাহেব ঠাকরের মুখোশের পিছনে পড়ে রয়েছেন। গতকাল কেউ একজন (অমিত শাহ) পুণেতে এসেছিলেন। তিনি প্রশ্ন করছিলেন যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি কীরকম এখন, তখন একজন উত্তর দেন, আজ খুব ভাল দিন, কারণ শিবসেনার নাম ও প্রতীক সেই দাসদের দেওয়া হয়েছে যারা আমাদের সঙ্গে এসেছিল। তখন তিনিও (অমিত শাহ) বলেন, খুব ভাল, মোগাম্বো খুশ হুয়া!”
তিনি আরও বলেন, “এরা আজকের যুগের মোগাম্বো। আসল মোগাম্বোর মতো এরাও চায়, সাধারণ মানুষ নিজেদের মধ্যে লড়াই করুন যাতে এরা ক্ষমতা উপভোগ করতে পারে”। নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত একদিকে ভাল, এতে সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ওনারা আমাকে নিজের বাড়ি থেকে দূর করে দিয়েছেন এবং চোরেদের সপক্ষে রায় দিয়েছেন। যদি এই সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে অন্য কোনও দলের সঙ্গেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”