Padma Awards: মরণোত্তর পদ্ম সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং

Former Uttar Pradesh CM Kalyan Singh: পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কল্যাণ সিং। এই বছর মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে তাঁকে। উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে এক অত্যন্ত প্রভাবশালী মুখ ছিলেন তিনি।

Padma Awards: মরণোত্তর পদ্ম সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং
মরনোত্তর পদ্ম সম্মান কল্যাণ সিংকে (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2022 | 10:36 PM

নয়া দিল্লি : পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কল্যাণ সিং। এই বছর মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে তাঁকে। উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে এক অত্যন্ত প্রভাবশালী মুখ ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি হিন্দুত্বের বড় মুখ ছিলেন কল্যাণ সিং। সামনেই উত্তর প্রদেশের নির্বাচন রয়েছে। তার ঠিক আগেই কেন্দ্রের তরফে পদ্ম সম্মান দেওয়া হচ্ছে কল্যাণ সিংকে। কল্যাণ সিং ভারতীয় জনতা পার্টির এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন। উত্তর প্রদেশের দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সাংসদ হিসাবেও নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। উল্লেখ্য ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। হিন্দু জাতীয়তাবাদের একজন আইকন হিসেবে গণ্য করা হত কল্যাণ সিংকে। এর পাশাপাশি অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলনেরও সামনের সারির নেতা ছিলেন তিনি।

প্রয়াত কল্যাণ সিংয়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন বেশ বর্ণময়। ১৯৬৭ সালে আত্রৌলি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে উত্তর প্রদেশের বিধানসভায় পা রাখেন। তিনি ভারতীয় জনসংঘ, বিজেপি, জনতা পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় ক্রান্তি পার্টির সদস্য হিসাবে সেই আসনে আরও নয়টি নির্বাচনে জিতেছিলেন। ১৯৯১ সালে কল্যাণ সি প্রথমবারের মতো উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর অবশ্য তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তাঁকে দল অপসারিত করে এবং বিজেপি ছেড়ে নিজের দল গঠন করে কল্যাণ সিং।

এরপর ২০০৪ সালে বিজেপিতে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় তাঁর। বুলন্দশহর লোকসভা কেন্দ্র থেকে থেকে সাংসদ হন। পরে ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপি ত্যাগ করেন তিনি। সেই বছরই লোকসভা ভোটে ইটাওয়া থেকে নির্দল হিসেবে জয়ী হন। শেষে ২০১৪ সালে তিনি আবার বিজেপিতে ফেরেন এবং রাজস্থানের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি পাঁচ বছরের জন্য সেই দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৯ সালে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বাবরি মসজিদ মামলায় তিনি বেকসুর মুক্তি পান। পরে উত্তর প্রদেশের লখনউতে ২০২১ সালে মারা যান তিনি।

শেষ দিকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন কল্যাণ সিং। বমি বমি ভাব এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাম মনোহর লোহিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়েছিলেন ২০২১ সালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর কিডনির সমস্যা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেছিলেন৷ পরে, তাঁর রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে সঞ্জয় গান্ধী পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি লাইফ সাপোর্টিং ভেন্টিলেশনে ছিলেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ অনেকেই তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। শেষে ওই বছরেরই ২১ অগস্ট ৮৯ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

আরও পড়ুন : Ghulam Nabi Azad : সংসদীয় রাজনীতিতে অসামান্য অবদান, এবার পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন গুলাম নবি আজাদ