Indian dishes: ভারত সফরে এসে সর্ষে শাক-পুদিনা রুটি খেলেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট, ম্যাক্রঁর মেনু শুনলে অবাক হবেন!
French President: দু-দিনের সফর হলেও ঠাসা কর্মসূচি ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের। জয়পুরের বিশিষ্ট স্থান পরিদর্শন, সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আসীন হওয়া থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারও করেছেন ইমান্যুয়েল ম্যাক্রঁ। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিনব ভারতীয় খাবারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন তিনি।
নয়া দিল্লি: পুদিনা থেকে সর্ষে শাকেই মজলেন ম্যাক্রঁ! এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রঁ। দু-দিনের ভারত সফর করে শুক্রবারই দেশে ফিরেছেন তিনি। আর তারপরই প্রকাশ্যে এল ম্যাক্রঁর এই সফরের খাদ্যতালিকা। অর্থাৎ এবারের ভারত সফরে এসে ফ্রান্স প্রেসিডেন্টের মেনুতে কী কী ছিল। যা জানলে রীতিমতো চোখ উঠবে!
দু-দিনের সফর হলেও ঠাসা কর্মসূচি ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের। জয়পুরের বিশিষ্ট স্থান পরিদর্শন, সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আসীন হওয়া থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারও করেছেন ইমান্যুয়েল ম্যাক্রঁ। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিনব ভারতীয় খাবারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন তিনি। বিশেষত, রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজে একাধিক ভারতীয় পদের সঙ্গে পরিচিত হলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
সাধারণতন্ত্র দিবসের আগের রাতে, বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে রাইসিনা হিলসে বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপত দ্রৌপদী মুর্মু। যেখানে কেশর বাদাম শরবৎ থেকে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় খাবারের পদ রাখা হয়। ডিনার টেবিলে ছিল, ছানা পাতুরি (সরষের সঙ্গে কলা পাতায় মোড়া বিশেষ ভাবে রান্না করা চিজ), আচারি আলু ও খুম্ব (আচার আলু ও মাশরুমের ডিশ), আনজির কোপ্তা (ফিগ এবং সবজি), বেগুন-ই-সুবজ (মাখন দিয়ে বেগুন ভাজা), ডাল দেরা, সবুজ পোলাও (বিভিন্ন সবজি দিয়ে পোলাও)।
এছাড়া ডিজার্টের তালিকায় ছিল, গাজর নাজাকাট (ডার্ক চকোলেটে গাজরের পুডিংয়ের সঙ্গে জমানো দুধ), ফিরনি (দুধ দিয়ে তৈরি দইয়ের মতো), তাজা ফল এবং পানীয়ের মধ্যে কাশ্মীরি কাওয়া আর কফি।
এ তো গেল রাষ্ট্রপতি ভবনের মেনু। জয়পুরের তাজ হোটেল রামবাগে উঠেছিলেন ইমান্যুয়েল ম্যাক্রঁ। সেখানে তাঁকে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ নিরামিশ রাজস্থানী ডিশ। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রোড শোয়ের পর রাস্তার পাশে এক দোকানে বসে তাঁকে চা পান করান নমো।
দিল্লিতে আইটিসি মৌর্য গ্র্যান্ড হোটেলে উঠেছিলেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট। সেখানে তাঁকে প্রাতঃরাশে আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফ্রুট-সহ বিভিন্ন ধরনের বেরিস দেওয়া হয়। এছাড়া ক্যারামেল দুধ, চকোলেট বাদাম, কসুরি মেথি – কোনও কিছুই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মেনু থেকে বাদ ছিল না।