Geeta: স্কুলের পাঠ্যে বাধ্যতামূলক করা হোক গীতা, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
Viswa Hindu Parishad: ভালো বেতন পাওয়া সত্ত্বেও ঠিক মতো পড়াচ্ছেন না শিক্ষকেরা। এমনটাই দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের।
নয়া দিল্লি: পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করা হোক গীতা (Geeta) এবং দেওয়া হোক জাতীয় পুস্তকের মর্যাদা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) কাছে এই আর্জিই জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। তাদের দাবি, গীতা পাঠ্যক্রমে যুক্ত করা হলে নিষ্ঠা বাড়বে শিক্ষকদের। আরও বেশি দায়িত্ব সহকারে পড়াবেন তাঁরা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সচিব এবং বিশ্ব গীতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক আচার্য রাধাকৃষ্ণ মনোরী আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে এই পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। সেখানেই এই দাবি রয়েছে যাতে পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে গীতা পড়ানো হয়। পাশাপাশি, গীতাকে জাতীয় পুস্তকের মর্যাদা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছ যে গীতা ধর্ম নিরপেক্ষ গ্রন্থ ও গীতার পাঠ যে কতটা জরুরি, তা সর্বজনবিদিত।
শুধু এই আর্জি জানানো হয়, এই বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে সময়ও চেয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। তাঁরা গীতার গুরুত্ব বোঝাতে চান। গীতাপাঠ যে সমাজকে কতটা উন্নীত করতে পারে, সেই আলোচনায় দেবেন তাঁরা।
আচার্য রাধাকৃষ্ণ মনোরীর দাবি, ভালো বেতন এবং সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকরা তাঁদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না। অতএব, শিক্ষকদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুভূতির উন্নতি এবং দায়িত্ব পালনের অনুভূতির জন্য, গীতা পাঠ বাধ্যতামূলক করা উচিত পাঠ্যক্রমে। প্রশিক্ষণের সময় গীতার সমস্ত অধ্যায় পড়াতে হবে এবং প্রত্যেক শিক্ষককে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে গীতার পাঠ। এই পাঠেই সমাজের উন্নতি হবে বলে মনে করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
আরও পড়ুন: West Bengal Flood: ঘোর বিপদ বঙ্গে! পুজোর আগেই বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা হাওড়া-হুগলি-সহ ৪ জেলা
সংগঠনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, গীতার আলো জাগ্রত করার জন্য, বিশ্ব গীতা ইনস্টিটিউট গীতাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চায়। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে ওই সংগঠন। আরও বলা হয়েছে যে, ‘সেই সঙ্গে আমাদের সমাজে মিশে যাওয়া পশ্চিমি সংস্কৃতির কুফলকে আটকাতে গীতা দেশের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
সরকারি প্রতিষ্ঠান বা আমলাদের মধ্যে কর্তব্য বৃদ্ধির জন্যও গীতার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে দাবি করা হয়েছে। তাই তাঁদের মধ্যেও গীতা বিতরণ করতে হবে, যাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গীতার সমস্ত অধ্যায়গুলি জানতে উদ্বুদ্ধ হবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Amarinder Singh: ‘বিজেপিতে যাচ্ছি না, তবেও কংগ্রেসের সঙ্গেও আর নয়’, সাফ কথা ‘অপমানিত’ অমরিন্দরের
আচার্য বলেন, ‘আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে, বিশ্ব গুরু ভারতের শক্তি ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এই আমাদের এই পাঁচটি দাবিকে যথাযথ সম্মান জানিয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’