নয়া প্রযুক্তিতে দেশে আসছে জেনোভার করোনা প্রতিষেধক
ইতিমধ্যেই মানবদেহ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের শরীরে নিরাপত্তা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাই করার জন্য ট্রায়াল চালিয়েছে জেনোভা।
নয়া দিল্লি: দেশের হাতে এখন তিনটি অনুমোদিত করোনা (COVID) প্রতিষেধক। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের পর স্পুটনিককে ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, খুব দ্রুত অন্যান্য বিদেশি করোনা প্রতিষেধককেও অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এর মধ্যেই টিকার ট্রায়াল শুরু করল পুণের জেনোভা। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় এমআরএনএ ভ্যাকসিন এইচজিসি০১৯-এর ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করেছে জেনোভা। এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত।
ডিপার্টমেন্ট অব বায়েটেকনলজি জানিয়েছে, ভারতে এই ধরনের এমআরএনএ ভাইরাসের ট্রায়ালের জন্য অতিরিক্ত টাকা তারা অনুমোদন করেছে। ‘মিশন কোভিড সুরক্ষা-র আওতায় এই টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিবিটি। তারা জানিয়েছে জেনোভা আমেরিকার এইচডিটি বায়োটেক করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার এমআরএনএ টিকা এইচজিসি০১৯ তৈরি করেছে। এই বিষয়ে একেবারে শুরু থেকে ডিবিটি জেনোভার পাশে আছে।
ইতিমধ্যেই মানবদেহ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের শরীরে নিরাপত্তা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাই করার জন্য ট্রায়াল চালিয়েছে জেনোভা। দু’টি ট্রায়াল চালানোর পর জেনোভাকে মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে রিভিউ কমিটি অন জেনেটিক ম্যানিপুলেশন, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া ও সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অরগানাইজেশন। এম আরএনএ ভ্যাকসিনকে মূলত নিরাপদ ধরা হয়। কারণ এমআরএনএ সংক্রামক নয়। এমআরএনএ ভ্যাকসিনগুলি অত্যন্ত কার্যকরী হয়। এ বিষয়ে ডিবিটির সম্পাদক রেনু স্বরূপ জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তিতে আগে ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদন হয়নি। তিনি বলেন, “এমআরএনএ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
দেশে ইতিমধ্যেই একাধিক ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। ওষুধ নির্মাতা সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা তাদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে। চলতি বছরেই দেশে অনুমোদন পেতে পারে জনসন অ্যান্ড জনসন, জাইডাস ক্যাডিলা, সেরামের নভোভ্যাক্স ও ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিন।
আরও পড়ুন: দেশে কি ফের লকডাউন কায়েম হবে? খোলসা করলেন নির্মলা