Ghulam Nabi Azad: আজাদই কি কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্য জোরাল জল্পনা
Ghulam Nabi Azad: শুক্রবারই গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেসের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ।
নয়া দিল্লি: সদ্য কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে শুরু করে যাবতীয় পদ ছাড়া সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন এই প্রবীণ নেতা। আজাদ ইস্তফা দেওয়ার পরে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে দলত্যাগের হিড়িক উঠেছিল। এবার আজাদকে নিয়ে মুখ খুললেন কাশ্মীরের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন বিধায়ক আমিন ভাট। শনিবার তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবে গুলাম নবি আজাদ।” শনিবার আজাদের সঙ্গে দেখা করার পর আমিন ভাট বলেন, “আমরা আমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করব। আমরা বিজেপির বি টিম নই।”
শুক্রবারই গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেসের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে আজাদ জানিয়েছিলেন, দলের অন্দরে প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং অনভিজ্ঞদের দলে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেই কারণেই তিনি দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু এখানেই থেমে না থেকে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা। আজাদের মতে রাহুল গান্ধীর ‘অপরিপক্কতা’ একের পর এক নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের প্রধান কারণ। দল ছাড়ার ঘোষণা করার পর তিনি জানিয়েছিলেন, খুব দ্রুত তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে নিজের দল তৈরি করবেন। তিনি বলেন, “আমি জম্মু-কাশ্মীরে দ্রুত আমার দল তৈরি করব। কিন্তু আমি বিজেপিতে যোদ দিচ্ছি না।”
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরই দলীয় রণকৌশল ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন ২৩ জন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। দলের অন্দরে তাঁরা জি-২৩ গোষ্ঠী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ইতিমধ্যেই এই গোষ্ঠীর অন্যতম পরিচিত মুখ কংগ্রেস ত্যাগ করে সমাজবাদী পার্টির সমর্থন নিয়ে নির্দল হিসেবে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আরেক কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। এবার গুলাম নবি আজাদের দলত্যাগের পর কংগ্রেসের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।