কৃষক আন্দোলনে বিদেশি তারকাদের সমর্থনে ‘সংবেদনশীল’ বার্তা কেন্দ্রের

গতকালই মার্কিন গায়িকা রিহানা ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করেন। তারপর থেকেই সরগরম টুইটার মহল। এর প্রেক্ষিতেই আজ বিদেশমন্ত্রক (Foreign Ministry)-র তরফে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়।

কৃষক আন্দোলনে বিদেশি তারকাদের সমর্থনে 'সংবেদনশীল' বার্তা কেন্দ্রের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 03, 2021 | 3:00 PM

নয়া দিল্লি: কৃষক আন্দোলন নিয়ে সুর চড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলও। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin trudaeu)-র পর এবার মার্কিন গায়িকা রিহানা (Rihanna), পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ (Greta thunberg)-ও টুইটারে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হওয়ায় চিন্তায় কেন্দ্রীয় সরকার। টুইট ঝড় ওঠার আগেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হল, “দেশের অতি স্বল্পসংখ্যক কৃষকরাই আন্দোলন করছে। এই বিষয়ে মন্তব্য করার আগে সঠিক তথ্য যাচাই করে, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বুঝে নেওয়া উচিত। বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল।”

গতকালই মার্কিন গায়িকা রিহানা ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করেন। তারপর থেকেই সরগরম টুইটার মহল। এর প্রেক্ষিতেই আজ বিদেশমন্ত্রক (Foreign Ministry)-র তরফে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, “এই আন্দোলনের বিষয়টি ভারতের গণতান্ত্রিক নীতির প্রেক্ষিতে দেখা উচিত। একইসঙ্গে প্রশাসন ও কৃষক সংগঠনগুলি সমস্যা সমাধানে যে প্রচেষ্টা করছে, তাও নজরে রাখা উচিত।” হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া টুগেদার ও হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া এগেনস্ট প্রোপাগান্ডারও ব্যবহার করা হয়।

এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করার আগে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত বলেও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়। বিভিন্ন সেলিব্রেটি ও অন্যান্য যাঁরা এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, তা যেমন বেঠিক, তেমনই দায়িত্বশীলও নয়। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, “দেশের কয়েকটি অংশের কিছু সংখ্যক কৃষকদেরই এই আইন নিয়ে সংরক্ষণ রয়েছে। আন্দোলনকারীদের আবেগকে মাথায় রেখেই সরকার আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এক থেকে দেড় বছরের জন্য আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রের বিরোধিতা করলে মিলবে না সরকারি চাকরি’

প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশৃঙ্খলার ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়, “কিছু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে আন্দোলনে নিজেদের উদ্দেশ্যপূরণের চেষ্টা করছে এবং তাঁদের আন্দোলন থেকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার প্রমাণ মিলেছে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। কৃষকদের মিছিল ঘিরে রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর ও হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক মহলেও ভারতের সমর্তন নষ্ট করার প্রচেষ্টা করছে। এর প্রভাবেই বিশ্বের নানা প্রান্তে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙার ঘটনাও ঘটেছে। এটি ভারত তথা বিশ্বের যেকোনওএ সভ্য সমাজের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি ঘটনা।”

অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সরকার এই আন্দোলন সামাল দিচ্ছে বলে জানানো হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে। একইসঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশৃঙ্খলার ঘটনায় পুলিশকর্মীদের আহত হওয়ার ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, “শতাধিক পুরুষ ও মহিলা পুলিশকর্মীকে আক্রমণ করা হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে তরোয়ালের আঘাতে গুরুতর আহতও হয়েছেন পুলিশকর্মীরা।”

আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে ১০০ আসনে জিতবে কংগ্রেস’, তোপ দাগল বিজেপি