Stubble Burning: ‘একর পিছু ৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ না পেলে…’, পঞ্জাবে এখনও পুড়ছে খড়কুটো

Delhi Air Pollution: পঞ্জাবে এক কৃষক জানিয়েছেন, "কৃষকদের উপর দোষ চাপানোর একটা চক্রান্ত চলছে। আমরা একমাস বা দু'মাসের জন্য খড়কুটো পোড়াই, আর সেটাই ইস্যু হয়ে যায়। কিন্তু শিল্পগুলির দিকে কোনও সরকারই দেখছে না, সেগুলির থেকে তো অফুরান দূষণ তৈরি হচ্ছে।"

Stubble Burning: 'একর পিছু ৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ না পেলে...', পঞ্জাবে এখনও পুড়ছে খড়কুটো
খড়কুটো পোড়ানোর কাজ একইরকমভাবে চলছে পঞ্জাবে (ছবি - এএনআই)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 3:44 PM

অমৃতসর : দীপাবলির পর থেকে রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মান অত্যন্ত ভয়াবহ। বিষ-বাতাসে দিন কাটাচ্ছে দিল্লিবাসী। শুধু বাজি ফাটানোই নয়, এর পাশাপাশি ফসলের গোড়া পোড়ানোও বাতাসের গুণগত মান খারাপ হওয়ার একটি অন্যতম বড় কারণ।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল গতবছরও অভিযোগ তুলেছিলেন, দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে যে পরিমাণের ফসলের গোড়া পোড়ানো হয়, তার থেকেই দূষিত হচ্ছে দিল্লির বাতাস। আর এদিকে সেই প্রশ্ন আজ আবারও উঠতে শুরু করেছে। আজও পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় ফসলের খড়কুটো পোড়াতে দেখা গিয়েছে।

এদিকে কৃষকদের বক্তব্য তাঁরা নিরুপায় হয়েই ফসলের গোড়া পোড়াচ্ছেন। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার যদি ফসলের গোড়া পোড়ানোর বদলে তাঁদের পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়, তাহলে এই খড়কুটো পোড়ানো বন্ধ করা যেতে পারে। দিল্লির বাতাস যেভাবে দূষিত হচ্ছে, তার দায় কৃষকদের উপর চাপানোর এক চক্রান্ত চলছে বলেও মত পঞ্জাবের কৃষকদের একাংশ।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে পঞ্জাবের এক কৃষক জানিয়েছেন, ” আমরা নিরুপায় হয়েই ফসলের গোড়ায় আগুন লাগাচ্ছি। এই কাজ বন্ধ করতে হলে সরকারকে অন্তত একর পিছু সাত হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ করা দরকার। কিন্তু আমাদের সে সব কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। পেট্রোপণ্যের এত চড়া দাম, এই পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে চাষ করব? আমাদের কাছে খড়কুটো পোড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।”

তাঁর আরও বক্তব্য, “কৃষকদের উপর দোষ চাপানোর একটা চক্রান্ত চলছে। আমরা একমাস বা দু’মাসের জন্য খড়কুটো পোড়াই, আর সেটাই ইস্যু হয়ে যায়। কিন্তু শিল্পগুলির দিকে কোনও সরকারই দেখছে না, সেগুলির থেকে তো অফুরান দূষণ তৈরি হচ্ছে।”

এদিকে সোমাবার সকালে দিল্লিতে কিছুটা হলেও উন্নত হয়েছে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান। “বিপজ্জনক” (Severe) পর্যায় থেকে তা নেমে দাঁড়ায় “অত্যন্ত খারাপ” (Very Poor) পর্যায়ে। মূলত দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো ও মাইলের পর মাইল জুড়ে ক্ষেতে ফসলের অবশিষ্ট অংশগুলি পোড়ানোর কারণেই ব্যাপক হারে দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেবল দিল্লিই নয়, প্রতিবেশী হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশেও এই বায়ু দূষণের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, তিন রাজ্যেই বাতাসের গুণমান খারাপ থেকে অতি খারাপের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।

রবিবারই দিল্লি সরকারের তরফে জানানো, নাসার উপগ্রহের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে ২১ হাজার ৬২৩টি জায়গায় খড়কুটো জ্বালানো হয়েছে। উত্তরের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ এটিই।

আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: ধর্মান্তকরণ মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা

আরও পড়ুন : Delhi Air Pollution: চারদিন বাদে কমল ‘বিষে’র মাত্রা! এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসই গ্রহণ করতে হবে দিল্লিবাসীকে