Haryana Maha Panchayat: ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে সময় বেঁধে দিল ‘মহাপঞ্চায়েত’, না-হলে…
Haryana Maha Panchayat: রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, না-হলে আরও বড় আন্দোলন হবে। কেন্দ্রকে স্পষ্ট বার্তা দিল প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সমস্যা নিয়ে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত মহাপঞ্চায়েত।
নয়া দিল্লি: রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, না-হলে আরও বড় আন্দোলন হবে। কেন্দ্রকে স্পষ্ট বার্তা দিল প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সমস্যা নিয়ে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত মহাপঞ্চায়েত। মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্রিজভুষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে ৭ থেকে ১০ দিন সময়ও বেঁধে দিয়েছে তারা। শুক্রবার এই খাপ পঞ্চায়েতের পর, কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত বলেছেন, “হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রর খাপ পঞ্চায়েত থেকে সরকারের কাছে একটি বড় বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ব্যবস্থা নিতে তাদের ৭ থেকে ১০ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। সরকারকে কুস্তিগিরদের অভিযোগের সমাধান করতে হবে এবং তাঁকে (ব্রিজভূষণ শরণ সিং) গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায়, আমরা ৯ জুন দিল্লির যন্তর মন্তরে কুস্তিগিরদের সঙ্গে যোগ দেব এবং সারা দেশে পঞ্চায়েত আয়োজন করব। কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করা উচিত এবং ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।”
এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে দাবি করে, আগামী ৫ জুন উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ‘জন চেতনা মহা সমাবেশ’ নামে একটি সভার ডাক দিয়েছিলেন ব্রিজভূষণ। তবে, শুক্রবারই ফেসবুক একটি পোস্ট করে ব্রিজভূষণ জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে পুলিশি তদন্ত চলছে। তাই রাম কথা পার্কে নির্ধারিত সভাটি কয়েক দিনের জন্য স্থগিত করা হচ্ছে। রাকেশ টিকাইত দাবি করেছেন, খাপ পঞ্চায়েতের চাপেই ৫ জুনের সভা বাতিল করা হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই এই সমাবেশ বাতিল করেছেন ব্রিজভূষণ। ওই সূত্রের দাবি, কুস্তিগিরদের অভিযোগের বিষয়ে তাঁকে ‘অপ্রয়োজনীয় বিবৃতি’ দিতেও বারণ করেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রধানের বিরুদ্ধে এক নাবালিকা-সহ বেশ কয়েকজন মহিলা কুস্তিগিরের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে দিল্লির যন্তরমন্তর এলাকায় গত প্রায় একমাস ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ভারতের প্রথম সারির কুস্তিগিররা। তাঁদের এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে কৃষক সংগঠনগুলিও।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ইতিমধ্য়েই কুস্তিগিররা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সরকার একটি নিরপেক্ষ তদন্তের পক্ষপাতী। আমরা সকলেই চাই ন্যায়বিচার হোক। তবে এর জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।” কুস্তিগিররা অবশ্য ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে অনড়। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে মহিলা কুস্তিগিরদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করেছে। নাবালিকা কুস্তিগিরের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের অধীনে এবং অন্যান্য মহিলা কুস্তিগিরদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে গত বুধবার (৩১ মে), দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল যে, তাদের কাছে এখনও ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই। এই অবস্থায় কুস্তিগিরদের আন্দোলনে কৃষকরা যোগ দিলে, এই মামলার জল কতদূর গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।