কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছেন? কী কী উপসর্গ দেখা দিলে বুঝবেন রক্ত জমাট বেঁধেছে শরীরে, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
ভারতে সেভাবে রক্ত জমাট বাঁধা বা থ্রম্বোসিসের ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে। টিকাপ্রাপ্ত ৭০০ জনের মধ্যে ৪৯৮ জনকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে স্রেফ ২৬ জনের শরীরে জমাট বেঁধেছে রক্ত।
নয়া দিল্লি: কোভিশিল্ডের টিকা নেওয়ার পরই রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনা ঘটছে, এই খবর ছড়াতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তবে সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভারতে রক্ত জমাট বাধার ঘটনা নেই বললেই চলে। সুতরাং আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আলাদাভাবে একটি নির্দেশিকা জারি করা হল।
সোমবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভারতে সেভাবে রক্ত জমাট বাঁধা বা থ্রম্বোসিসের ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে। টিকাপ্রাপ্ত ৭০০ জনের মধ্যে ৪৯৮ জনকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে স্রেফ ২৬ জনের শরীরে জমাট বেঁধেছে রক্ত। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, ১০ লক্ষ করোনা টিকাপ্রাপকের মধ্যে গড়ে ১ জনের শরীরেও জমাট বাঁধছে না রক্ত। গড়ে ০.৬১ জন মানুষের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা দেখা গিয়েছে, সুতরাং এই গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভারতে নেই বললেই চলে। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে ১০ লক্ষের মধ্যে ৪ জনের শরীরে এই সমস্যা দেখা গিয়েছে এবং জার্মানিতে ১০ লক্ষের মধ্যে ১০ জনের শরীরে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
তবে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা দেখা দিতেই স্বাস্থ্যকর্মী ও টিকাপ্রাপকদের জন্য় আলাদাভাবে একটি নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রক, যেখানে রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গগুলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কোভিশিল্ড নেওয়ার ২০ দিনের মধ্যে যদি এই উপসর্গগুলি দেখা যায়, তবে যেখান থেকে টিকা নেওয়া হয়েছে, সেই কেন্দ্রে যেন অবশ্যই জানানো হয়।
রক্ত জমাট বাঁধার প্রধান উপসর্গগুলি হল-
- শ্বাসকষ্ট
- বুকে ব্যাথা
- হাতে ব্যাথা বা হাত ফুলে যাওয়া
- যেই জায়গায় টিকা দেওয়া হয়েছে, তার চারপাশে লাল লাল ছোপ।
- ক্রমাগত পেটে ব্যাথা। এক্ষেত্রে বমি হতেও পারে বা নাও হতে পারে।
- আগে খিঁচুনির সমস্যা না থাকলেও টিকা নেওয়ার পর বমি সহ বা এমনিই খিঁচুনি ধরা।
- ক্রমাগত মাথা ব্যাথা।
- দেহের কোনও একটি অংশে দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস।
- অস্পষ্ট দৃষ্টি বা চোখে ব্যাথা কিংবা দ্বিগুণ দেখা।
- মানসিক অবস্থার পরিবর্তন, চিন্তাভাবনায় সংশয় দেখা দেওয়া কিংবা অবসাদ বোধ করা।
এছাড়াও যদি অন্য কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, যা টিকাপ্রাপকের শরীরে আগে ছিল না, সেক্ষেত্রে দ্রুত যাতে স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে জানানো হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।