AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

LPG price: বাইশের পর দাম ফের হাজারের নীচে, ৯ বছরের মোদী জমানায় কীভাবে ওঠানামা করেছে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম?

LPG price: ২০১৪ সাল পর্যন্ত রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দিত সরকার। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে, গৃহস্থালীর রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি, সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো শুরু হয়েছিল। মহামারির সময়, ভর্তুকি ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

LPG price: বাইশের পর দাম ফের হাজারের নীচে, ৯ বছরের মোদী জমানায় কীভাবে ওঠানামা করেছে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম?
প্রতীকী ছবিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2023 | 9:52 PM
Share

নয়া দিল্লি: চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে, সাধারণ মানুষের পকেটে কিছুটা স্বস্তি দিতে, মঙ্গলবার (২৯ অগস্ট), বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী মন্ত্রিসভা। ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডার, অর্থাৎ গৃহস্থালীতে যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, তাতে ফের ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রিসভা। ফলে ২০২২ সালের পর ফের একবার ১০০০ টাকার নীচে নেমে গেল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম। চলতি বছরেও বেশ কয়েকবার বেড়েছিল রান্নার গ্যাসের দাম। বস্তুত, ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে, গত নয় বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম।

ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন বা আইওসিএল (IOCL)-এর তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালের মার্চে, ভর্তুকি দেওয়ার পর দিল্লিতে গেরস্থালির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৪১০.৫০ টাকা।

এক বছর পর, অর্থাৎ ২০১৫ সালের মার্চে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬১০ টাকা।

পরের এক বছরে অপরিশোধিত তেলের দাম অনেকটাই কমেছিল। যার ফলে লাভবান হয়েছিলেন ভারতীয় নাগরিকরা। ফলে, ২০১৬ সালের মার্চে গৃহস্থালীর গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নেমে এসেছিল ৫১৩.৫০ টাকায়।

পরের বছরই ফের একলাফে ২০০ টাকার বেশি বেড়েছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম। ২০১৭-র মার্চে ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয় ৭৩৭.৫০ টাকা।

২০১৮ সালের শুরু থেকে ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ক্রমে কমছিল। মে মাসে নেমে এসেছিল ৬৫০.৫০ টাকায়। কিন্তু তারপর থেকে ক্রমে বাড়তে থাকে গ্যাসের দাম। নভেম্বরে ৯৪২.৫০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল।

২০১৯-এর শুরুতে দাম ফের কমেছিল। মার্চে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম ছিল ৭০১.৫০ টাকা।

তবে এরপরই হানা দিয়েছিল করোনাভাইরাস মহামারি। ২০২০-র মার্চে দিল্লিতে ১৪.২ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ছিল ৮০৫.৫ টাকা।

২০২১-এর মার্চে ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৮৩৪.৫০ টাকা।

২০২১-এর অক্টোবর থেকে ২০২২-এর মার্চ পর্যন্ত, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই ফের লাগাতার গ্যাসের দাম বাড়তে থাকে। ২০২২-এর এপ্রিলে একবার এবং মে মাসে আরও দুবার দাম বাড়ায়, দিল্লিতে ঘরোয়া এলপিজির সিলিন্ডারের দাম হাজার টাকা ছাপিয়ে যায়। প্রতি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ায় ১০০৩ টাকা।

চলতি বছরে মে মাসে দুইবার এবং জুলাই মাসে ফের একবার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা করে বাড়িয়েছিল তেল সংস্থাগুলি। যার জেরে দিল্লিতে ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পৌঁছেছিল ১১০৩ টাকায়।

মাথায় রাখতে হবে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দিত সরকার। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে, গৃহস্থালীর রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি, সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো শুরু হয়েছিল। সেই সময় এই ভর্তুকি দেওয়া দামে সকল গ্রাহক বছরে ১২টি করে সিলিন্ডার পেতেন। করোনা মহামারি আসার পর থেকে এলপিজিতে ভর্তুকি কমাতে শুরু করেছিল মোদী সরকার। তার আগেই অবশ্য সরকার, নাগরিকদের কাছে স্বেচ্ছায় ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল। তাতে কেউ কেউ সাড়া দিয়েছিলেন। তবে, মহামারির সময়, ভর্তুকি ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে শুধুমাত্র যাঁরা উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন, তাঁদেরই এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি দেওয়া হত। এদিন, ফের সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকার ভর্তুকি ফেরানোয়, দিল্লিতে ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯০৩ টাকায় নেমে এল।