Black bear: আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি করে হত্যা ভাল্লুককে!

Himalayan black bear: গত সপ্তাহে কালো ভাল্লুকটি প্রায় চার থেকে পাঁচজনকে আক্রমণ করেছিল। এরপর পুনরায় এলাকায় ঢুকে পড়ে ভাল্লুকটি।

Black bear: আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি করে হত্যা ভাল্লুককে!
ছবি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 7:24 PM

দেরাদুন: বিভিন্ন আইন তৈরি করেও রোখা যাচ্ছে না পশুমৃত্যু। বিলুপ্ত হতে চলা পশুদের মৃত্যুতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার। আরও একবার সেই ঘটনার শিকার একটি বন্য প্রাণ। মৃত্যু হল হিমালয়ের একটি কালো ভাল্লুকের (Black bear)।

বন দপ্তর সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে কালো ভাল্লুকটি প্রায় চার থেকে পাঁচজনকে আক্রমণ করেছিল। এরপর পুনরায় এলাকায় ঢুকে পড়ে ভাল্লুকটি। খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। কিন্তু কিছুতেই বশে আনতে পারা যায়নি ভাল্লুকটিকে। যার জেরে ওই ভাল্লুকটি মারতে উদ্যত হয় বন আধিকারিকরা। গুলি করে মেরে ফেলা হয় তাকে। ঘটনাটি ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়।

এক বন আধিকারিকের কথায়, গত সপ্তাহেই এই ভাল্লুকটিকে পাকড়াও করার জন্য পশু চিকিৎসকদের নিয়ে আসা হয়। ভাল্লুকটিকে ধরতে ঘুমের ছোড়ে তারা। কিন্তু এতেও কোনও লাভ হয়নি। এরপরও এলাকাবাসীদের আক্রমণ করে চলেছিল ভাল্লুকটি। তাই প্রাণ রক্ষার জেরে গুলি করা হয় তাকে। বনদপ্তরের কর্মী ও পশুচিকিৎসকরা চেষ্টা চালায় ভাল্লুকটিকে বাঁচাতে। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারা।

প্রসঙ্গত, শীত আসতে আর বেশী দিন নেই। হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ অনুভূত হতে শুরু করেছে। বন আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে হিমালয়ের বসতি অঞ্চলগুলিতে ভাল্লুকের আনাগোনা বেড়ে যায়। অত্যাধিক শীতের কারণে খাবারের খোঁজে তারা পাহাড়ের ঢালে নেমে আসে। অথবা লোকালয়ে ঢুকে যায়। যার কারণে বুনো ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার হয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

হিমালয়ের কালো ভাল্লুকের দেখা মেলে ১০ থেকে ১২ হাজার ফুট উপরে। শীত পড়ার পর থেকেই তারা খাবারের সন্ধানে ধীরে ধীরে ৫ থেকে ৬ হাজার ফুট নীচে নেমে আসে। বর্তমানে এই প্রাণীটি বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের অধীনে। এর আগেও এই ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। চামোলি জেলাতেই ভাল্লুকের আক্রমণে ৪৭ বছরের এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বছর আটচল্লিশের আরও এক ব্যক্তি প্রাণ হারায়।

পশুদের প্রতি নৃশংসতা প্রতিরোধে ৬০ বছর আগে যে আইন আনা হয়েছিল, সেখানে পশুদের আঘাতের ক্ষেত্রে কোনও শ্রেণি ছিল না। সংশোধনী আইনের যে খসড়া প্রস্তাব বলা হয়েছে, মোট তিনটি শ্রেণিতে পশুদের আঘাত ভাগ করা হবে। এগুলি হল- স্বল্প আঘাত, গুরুতর আঘাত ও মৃত্যু। আঘাতের মাত্রার উপর নির্ভর করেই জরিমানা ৭৫০ টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা অবধি এবং পাঁচবছরের সাজা ধার্য করা হবে। বর্তমান আইনে কোনও প্রাণীকে মারধর, লাথি মারা, অত্যাচার করা, খেতে না দেওয়া, অতিরিক্ত ভার চাপানোর ক্ষেত্রে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হত।

আরও পড়ুন: Viral Video: ড্রোন নয়, পাখির চোখেই ক্যাপচার হল ‘বার্ডস আই ভিউ’