Hooch Tragedy: দীপাবলিতে বিষাদের সুর, এই ব্রান্ডের মদ খেতেই পরপর ৪ দিনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ১৮ জন
Haryana: বিষমদের বিষয়টি সামনে আসতেই যমুনানগর পুলিশের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে মহেন্দর নামক একজন মদের কন্ট্রাক্টর। এছাড়া ২ জন বেআইনি মদ বিক্রেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
চণ্ডীগঢ়: উৎসবের মরশুম চলছে, সকলেই নিজের মতো উদযাপনে ব্যস্ত। সপ্তাহন্তে গলা ভেজাতে মদের নেশায় ডুবেছিলেন অনেকে। আর সেই নেশাই ডেকে আনল মৃত্যু। বিষমদ পান করে একের পর এক মৃত্যু। হরিয়ানায় বিগত ৪ দিনে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষমদ পান করে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই মৃত্য়ু হয়েছে ৪ জনের। প্রশাসনের তরফে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
শনিবার হরিয়ানার যমুনানগর জেলার সরণ গ্রাম, মাঙ্গলোরা গ্রাম ও মানদেবাড়ি গ্রাম থেকে কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যুর খনর মেলে। এরা সকলেই মদ্যপানের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত ৪ দিন ধরে ওই জেলার ৫টি গ্রাম থেকে একাধিক মৃত্যুর খবর মিলছে। বিষমদ পান করার কারণেই এই মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে বলে অনুমান। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই শ্রমিক।
বিষমদের বিষয়টি সামনে আসতেই যমুনানগর পুলিশের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে মহেন্দর নামক একজন মদের কন্ট্রাক্টর। এছাড়া ২ জন বেআইনি মদ বিক্রেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষমদ কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে অম্বালা থেকেও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যমুনানগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “বিষমদ পান করে ১৬ থেকে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা ১০ জনকে গ্রেফতার করেছি। আরও কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হয়েছে ওই ব্রান্ডের মদ না খেতে। বেশ কয়েকটি জায়গায় মদের ভাঁটিতে হানা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ড্রাম ভর্তি মদ ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।”