ছড়াতে দেওয়া যাবে না সংক্রমণ, ৩ দিনের মধ্যে আগরতলার প্রতি বাড়িতে গিয়ে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সমস্ত আগরতলাবাসীরই বাড়িতে গিয়ে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে, যাতে সহজেই সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব হয়।

ছড়াতে দেওয়া যাবে না সংক্রমণ, ৩ দিনের মধ্যে আগরতলার প্রতি বাড়িতে গিয়ে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র। PTI
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2021 | 3:29 PM

আগরতলা: করোনা সংক্রমণকে হালকা চালে নিচ্ছে না ত্রিপুরা সরকার। সংক্রমণ রুখতে আগেই আগরতলা জুড়ে জারি হয়েছিল নৈশ কার্ফু। তারপরও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী তিনদিনের মধ্যে আগরতলা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সমস্ত বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

বৃহস্পতিবার রাজ্যে ৪৮০ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে ও দুইজনের মৃত্যু হয়। এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রামীণ অঞ্চলে যারা থাকেন, তাদের জন্য বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সমস্ত আগরতলাবাসীরই বাড়িতে গিয়ে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে, যাতে সহজেই সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব হয়। এতে একদিকে যেমন বেশি সংখ্যক পরীক্ষাও হবে, তেমনই দ্রুত আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণেও সুবিধা হবে। দ্রুত চিহ্নিতকরণের জন্য আগামী তিনদিনের মধ্যেই এই কাজ সারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ বাড়তেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমে তৃতীয় থেকে নবম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়। তারপর এক সপ্তাহ পরই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও বাতিল করে দেওয়া হয়। সংক্রমণ রুখতে আপাতত সমস্ত চাকরির পরীক্ষাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে প্রায় ২০০ জন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসককে জরুরিভিত্তিতে স্থায়ী নিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন: ‘করোনা ভাইরাসেরও বাঁচার অধিকার আছে’, দার্শনিক তত্ত্ব দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী