চিকিৎসক হয়ে কীভাবে করোনিলকে ছাড়পত্র দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রশ্ন চিকিৎসক মহলের
করোনিল (Coronil) যদি এতো কার্যকরী হলে ভ্যাকসিনের (Vaccine) কি দরকার। চিকিৎসকদের সংঠনের প্রশ্ন কেন্দ্রকে।
নয়া দিল্লি: বিশ্বের প্রথম করোনা প্রতিরোধী ওষুধ বলে শুক্রবার দাবি করে বাজারে করোনিল এনেছে পতঞ্জলি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেই ওষুধ প্রকাশ করেছেন রামদেব। এই বিষয় নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুলল ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন’ (Indian Medical Association)। নিজে একজন চিকিৎসক হয়ে কীভাবে এই ওষুধকে ছাড়পত্র দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইএমএ-এর চিকিৎসকরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার মিথ্যা দাবি করে কীভাবে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওষুধ প্রকাশ করা হল তা নিয়ে দেশের মানুষকে ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের ওই সংঠনের প্রশ্ন , কীভাবে দেশের মানুষের জন্য বিজ্ঞান সম্মত নয় এমন একটি প্রোডাক্ট বাজারে আনা হল? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে কীভাবে এই ওষুধকে অনুমোদন দিলেন ড. হর্ষ বর্ধন? করোনিল যদি এত কার্যকরী হতো তাহলে কেন্দ্র কেন এত কোটি টাকা খরচ করে ভ্যাকসিন দিচ্ছে?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নাতিন গডকরীর উপস্থিতিতে করোনিলের ‘বিজ্ঞানসম্মত গবেষণাপত্র’ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে পতঞ্জলির তৈরি ওষুধ নিয়ে ক্যামেরার সামনে ধরাও দেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রামদেব জানান, হু-র কাছ থেকেও ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এমনকি সেখানে টাঙানো ব্যানারেও পরিষ্কার ভাষায় লেখা ছিল, করোনিল হু-র কাছ থেকে ওষুধজাতীয় পণ্যের শংসাপত্র পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রামদেবের এই ঘোষণায় বিতর্ক শুরু হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করোনিলের গুণাগুণ বোঝাতে শুরু করেন রামদেব।
এই শোরগোলের মধ্যেই হু-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের টুইটার হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, কোনও চিরাচরিত ওষুধকে কোভিড চিকিৎসার জন্য ছাড়পত্র দেয়নি তারা। হু-র একটি দল এসে তাঁদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন রামদেব। কিন্তু হু-র টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, “কোভিড চিকিৎসার জন্য কোনও চিরাচরিত ওষুধের গুণমান না আমরা বিচার করে দেখেছি, না আমরা তার কার্যকারিতা নিশ্চিত করে ছাড়পত্র দিয়েছি”।