যেমন কথা, তেমন কাজ: ভোটের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পূরণ করছেন স্মৃতি ইরানি

আমেঠিতে (Amethi) জেতার পর তিনি বলেছিলেন, সেখানকার মানুষের পাশে থাকবেন। হাতে-কলমে তা করতে এ বার আমেঠিতে জমি কিনে ফেলেছেন স্মৃতি (Smriti Irani)। সেখানেই বাড়ি বানাবেন।

যেমন কথা, তেমন কাজ: ভোটের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পূরণ করছেন স্মৃতি ইরানি
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2021 | 9:21 AM

জ্যোতির্ময় রায়: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। উত্তর প্রদেশের আমেঠি (Amethi) কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) প্রার্থী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ৫৫,১২০ ভোটে পরাজিত করে উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস পরিবারের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। গান্ধীর পরিবার এর আগের চার দশক ধরে এই আসনে জয়লাভ করে এসেছিল।

গান্ধী পরিবারের খানদানি আসনে জয়ের আনন্দে তখন স্মৃতি আমেঠির জনগণকে কথা দিয়েছিলেন, আমি আপনাদের সেবা করব। আর এর জন্য আমি আপনাদের সঙ্গে আপনাদের মধ্যেই এসে থাকব। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে শেষ বছর দুয়েক ধরেই আমেঠিতে একটি বাড়ি তৈরির জন্য স্মৃতি ইরানি জমি খুঁজছিলেন। আজ সেই খোঁজা সাঙ্গ হল। আমেঠির মানুষকে দেওয়া কথা রাখতে এবার আমেঠিতেই বসতবাড়ির জন্য আজ জমি কিনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

রাহুল-সনিয়াদের এক সময়ের দুর্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি প্রায় ১৫০০ বর্গ মিটার জমি কিনেছেন। আজ, ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টায় গৌরিগঞ্জের জেলা শাসকের রেজিস্ট্রি অফিসে স্মৃতি ইরানির নামে ওই জমির রেজিস্ট্রি করা হয়। গৌরিগঞ্জ জেলা সদর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে টিকারিয়া-মদন মাভাই রোড, টান্দিয়া-বান্দা হাইওয়ের কাছে অবস্থিত। সূত্রের খবর, এই জমির মূল্য প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা।

জমির আগের মালিক ফুলমতির ছেলে গয়াপ্রসাদ পাণ্ডে বলেন, “আমাদের, আমাদের গ্রামের বা আমাদের এলাকার উন্নয়নের জন্য স্মৃতি ইরানি যা করেছেন, এর আগে এমন কেউ করেননি।এই জমি যে তিনি কিনেছেন এটা আমাদের ভাগ্য। আশা করব এর ফলে আমাদের বা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের উন্নয়ন আরও দ্রুত হবে।”

আরও পড়ুন: সম্ভবত বুধেই কলকাতায় পা কেন্দ্রীয় বাহিনীর, চলবে সকাল-বিকেল রুট মার্চ

প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে জয়ী হওয়ার পরে আমেঠিতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন স্মৃতি ইরানি। ২০১৯ সালে নির্বাচন প্রচার চলাকালীন স্মৃতি ইরানি তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আমেঠিতে পর্যাপ্ত সময় ব্যয় না করার অভিযোগ করেছিলেন। রাহুলকে “নিখোঁজ সাংসদ” এবং একজন “অনুপস্থিত প্রার্থী” বলে অভিহিত করেছিলেন স্মৃতি। যদিও তিনি হাতে-কলমে ও বাস্তবে মানুষের কাছেই যে থাকতে চান, সেটা তাঁর পদক্ষেপেই সাফ করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সত্যজিৎ রায়ের নামে জাতীয় স্তরে চলচ্চিত্র পুরস্কার, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের