Rishi Sunak: যুক্তরাজ্য-ভারত সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে চান সুনক, কী ধরনের জানেন?
Rishi Sunak and UK-India relationship: গত অগস্টে, লিজ় ট্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময়ই কনজ়ারভেটিভ পার্টির ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান সদস্যদের এক সমাবেশে ঋষি সুনক বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য-ভারত সম্পর্কের পরিবর্তন করবেন তিনি। এই সম্পর্ককে আরও দ্বিমুখী করে তুলতে চান তিনি।
লন্ডন: শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল না। সোমবারই (২৪ অক্টোবর) ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হলেন ঋষি সুনক। স্বাভাবিকভাবেই, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির উত্তরণে উচ্ছ্বসিত ভারতীয়রা। এই সংবাদে, দীপাবলির রোশনাই আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু, সুনকের এই প্রাপ্তিতে ভারতীয়রা কতটা উপকৃত হবেন? যুক্তরাজ্য-ভারত সম্পর্ককে কী চোখে দেখেন তিনি?
গত অগস্টে, লিজ় ট্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময়ই কনজ়ারভেটিভ পার্টির ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান সদস্যদের এক সমাবেশে ঋষি সুনক বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য-ভারত সম্পর্কের পরিবর্তন করবেন তিনি। এই সম্পর্ককে আরও দ্বিমুখী করে তুলতে চান তিনি। যাতে, যুক্তরাজ্যের ছাত্র এবং সংস্থাগুলির ভারতে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত হয়। মুদ্রাস্ফীতির “কঠিন সময়ে” একটি উন্নত, নিরাপদ ব্রিটেন গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।
উত্তর লন্ডনে ‘কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ান ডায়াস্পোরা’ সংস্থা আয়োজিত ওই সভায় তিনি “নমস্তে, সালাম, খেম চো এবং কিড্ডা”-র মতো ভারতীয় ভাষায় সেই সমাবেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ঋষি। এমনকি, হিন্দিতে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আপ সব মেরে পরিবার হো (আপনারা সবাই আমার পরিবার)”। এরপর তিনি বলেন, “আমরা জানি যুক্তরাজ্য-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দুই দেশের মধ্যের জীবন্ত সেতু। আমরা সকলেই ভারতে যুক্তরাজ্যের পণ্য বিক্রি করার এবং ব্যবসা করার সুযোগ সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু, আমাদের আসলে এই সম্পর্কটিকে আলাদাভাবে দেখতে হবে। কারণ, আমরা যুক্তরাজ্যের মানুষ, ভারতের থেকে প্রচুর পরিমাণে শিখতে পারি।”
তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্যও যাতে ভারতে যাওয়া এবং শিক্ষা গ্রহণ করা সহজ হয়, আমি তা নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের সংস্থাগুলি এবং ভারতীয় সংস্থাগুলির একসঙ্গে কাজ করাও যাতে সহজ হয়, সেইদিকেও নজর দিতে চাই। কারণ এটা শুধুমাত্র একমুখী সম্পর্ক নয়, এটা একটা দ্বিমুখী সম্পর্ক। আমি এই সম্পর্কে এই ধরনের পরিবর্তনই আনতে চাই।”