Brahmos missile video: সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া হল ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র, ৪০০ কিমি দূরে উড়ে গেল জাহাজ

Brahmos missile from Sukhoi Fighter Jet: বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মোস এয়ার লঞ্চড মিসাইলের এক্সটেন্ডেড বর্ধিত পাল্লার সংস্করণের পরীক্ষায় সফল হল ভারতীয় বায়ুসেনা।

Brahmos missile video: সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া হল ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র, ৪০০ কিমি দূরে উড়ে গেল জাহাজ
সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া হল ব্রাহ্মোস মিসাইল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2022 | 7:40 PM

নয়া দিল্লি: সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া হল ব্রাহ্মোস এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ মিসাইল। কিছু সময় পরই, সমুদ্রে ভাসমান একটি জাহাজ উড়িয়ে দিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইলটি। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মোস এয়ার লঞ্চড মিসাইলের এক্সটেন্ডেড বর্ধিত পাল্লার সংস্করণের পরীক্ষায় সফল হল ভারতীয় বায়ুসেনা। ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের এই নয়া সংস্করণের পাল্লা প্রায় ৪০০ কিলোমিটার বলে দাবি করা হচ্ছে। অর্থাৎ, প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিনের পরীক্ষাটি হয়েছে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে। পরীক্ষায় কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা গিয়েছে। মন্ত্রক বলেছে, “এই পরীক্ষা সফল হওয়ায়, ভারতীয় বায়ুসেনা সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে স্থলে বা সমুদ্রে দীর্ঘ দূরত্বে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে।”

এদিনের পরীক্ষাটি ভারতীয় বায়ুসেনার আওতায় হলেও, এই পরীক্ষায় যৌথভাবে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল এবং ব্রাহ্মোস অ্যারোস্পেস। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, “সুখোই-৩০ এসকেআই যুদ্ধবিমানের উচ্চমানের পারফরম্যান্সের সঙ্গে (ব্রাহ্মোস) ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ধিত পাল্লার ক্ষমতা, ভারতীয় বায়ুসেনা একটি কৌশলগত সামরিক সুবিধা দিয়েছে এবং এর ফলে ভবিষ্যতের যুদ্ধে বাহিনী আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।”

চলতি বছরের মে মাসে প্রথমবার সুখোই-২০ এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপের পরীক্ষা করা হয়েছিল। ওই সময়ও ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ২৯০ কিলোমিটার থেকে বেড়ে এর পাল্লা দাঁড়িয়েছিল ৩৫০ কিলোমিটার। এই সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রে দ্বিস্তরীয় সলিড প্রোপেল্যান্ট বুস্টার ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। প্রথম স্তরের ইঞ্জিনটি ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সুপারসনিক গতি দেয়। পরের স্তরে লিকুইড ব়্যামজেট ইঞ্জিন এর গতি শব্দের গতিবেগের প্রায় তিনগুণ বেশি গতি দেয়। বায়ু, সমুদ্র বা স্থল – বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকেই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা যায়।