ডিরেক্টর পদে দিনমজুর! ব্যাঙ্কে ১৭০ কোটির কালো টাকা, নাস্তানাবুদ আয়কর বিভাগ

নথিতে উল্লেখিত ১৭জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়কর বিভাগ। প্রত্যেকেই জানায়, তাঁদের নামে যে এইধরনের কোনও ব্যবসা চলছিল, সেই বিষয়ে কিছুই জানতেন না তাঁরা।

ডিরেক্টর পদে দিনমজুর! ব্যাঙ্কে ১৭০ কোটির কালো টাকা, নাস্তানাবুদ আয়কর বিভাগ
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 08, 2020 | 7:14 PM

নয়া দিল্লি: নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এদিকে তাঁদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। তাঁরা নাকি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরও! ওড়িশা (Odisha)-য় একটি ইস্পাত পণ্য উৎপাদন ও বাণিজ্য সংস্থায় আয়কর বিভাগ (Income Tax Department) অভিযান চালাতেই কয়েকশো কোটি কালো টাকার খোঁজের পাশাপাশি উঠে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্যও।

সূত্র ধরেই ৩ ডিসেম্বর রাউরকেল্লা (Rourkela)-য় ও তার আশে পাশের এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ওই সংস্থার বিভিন্ন দপ্তরে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। সেখানেই হদিশ মেলে কালো টাকার (Black Money)। সেই অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭০ কোটি টাকা। সংস্থার শীর্ষ নেতৃত্বের খোঁজ চালালে দেখা যায়, সংস্থার ডিরেক্টর ( Managing Director) হিসাবে যাদের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে, তারা আসলে দিনমজুর (Daily Wage earners)।

আয়কর বিভাগের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়,”বিগত দুই বছর ধরে ১৭টি ভুয়ো পরিচয়ে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা আয় করেছে ওই ইস্পাত উৎপাদনকারী গ্রুপ।” অভিযান চালানোর পাশাপাশিই নথিতে উল্লেখিত ১৭জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়কর বিভাগ। প্রত্যেকেই জানায়, তাঁদের নামে যে এইধরনের কোনও ব্যবসা চলছিল, সেই বিষয়ে কিছুই জানতেন না তাঁরা।

বিবৃতি বলা হয়, “ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছিল। যাদের নাম সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে দেওয়া ছিল, তারা প্রত্যেকেই দিনমজুর কিংবা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির”।

আরও পড়ুন: “ধনে আর মেথির তফাত জানলে বলুন”, রাহুলকে কটাক্ষ বিজয় রুপাণীর