Manipur: চাপ বাড়াচ্ছে ইন্ডিয়া জোট, ২৯-৩০ জুলাই মণিপুর সফরে ২৬ বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা
INDIA alliance: ২৬ বিরোধী দলের নেতাদের আসন্ন এই সফর নিঃসন্দেহে সরকারকে অনেক বেশি চাপে ফেলে দিতে পারে। মণিপুর হিংসার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে ইতিমধ্যেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ইন্ডিয়া জোট। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
নয়া দিল্লি: মণিপুর হিংসা নিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে কোনও প্রচেষ্টাই বাকি রাখছে না বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই সমস্যা নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করার দাবির পাশাপাশি, এবার মণিপুর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিল তারা। এদিন সংসদীয় কার্যক্রম চলার মধ্য়েই ইন্ডিয়া ডোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৯ এবং ৩০ জুলাই, অর্থাৎ আগামী শনি ও রবিবার হিংসা-ধ্বস্ত মণিপুর পরিদর্শন করবে ইন্ডিয়া জোটের এক প্রতিনিধি দল। ২৬ দলের এই জোটের কোন কোন নেতা সেই প্রতিনিধি দলে থাকবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। মণিপুরের কোন কোন এলাকায় তাঁরা যাবেন, বিশদ কিছু এখনও জানা যায়নি। গত ৩ মে থেকে মণিপুরে লাগাতার হিংসা চলছে। সম্প্রতি, দুই মহিলার যৌন হেনস্থার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। গোটা দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এদিন, কংগ্রেসের লোকসভার চিফ হুইপ মানিকম ঠাকুর জানান, বিরোধী জোটের অন্তত ২০টি দলের নেতারা মণিপুরে যাবেন। সেখানকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখবেন। এর আগে ২৯ ও ৩০ জুন মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ত্রাণ শিবিরগুলিতে ঘুরে ঘুরে সেখানকার মানুষের সমস্যার কথা শুনেছিলেন। এরপর, গত ১৯ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ নেতার এক প্রতিনিধি দলও মণিপুর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তবে, ২৬ বিরোধী দলের নেতাদের আসন্ন এই সফর নিঃসন্দেহে সরকারকে অনেক বেশি চাপে ফেলে দিতে পারে। মণিপুর হিংসার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে ইতিমধ্যেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ইন্ডিয়া জোট। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং ভোটাভুটির তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করবেন। এদিনও মণিপুর নিয়ে স্লোগান পাল্টা স্লোগানে কার্যত অচল রয়েছে সংসদের দুই কক্ষ।
এদিন, লোকসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী সাংসদরা মণিপুর নিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের সঙ্গে, ‘প্রধানমন্ত্রী সদন মে আও’, ‘প্রধানমন্ত্রী চুপ্পি তোড়ো’, ‘প্রধানমন্ত্রী হোশ মে আও’-এর মতো স্লোগান তোলে। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বারংবার সভার শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেন। কিন্তু, বিরোধীদের কণ্ঠস্বর তাতে থামেনি। রাজ্যসভার ছবিটাও ছিল প্রায় একই রকম। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাঁর মন্ত্রকের অগ্রগতির বিষয়ে সংসদকে অবগত করছিলেন। কিন্তু, মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের স্লোগানের নীচে চাপা পড়ে যায় তাঁর মাইকে বলা বক্তব্য। প্রতিবাদের চিহ্ন হিসেবে এদিন সংসদের দুই কক্ষেই অধিকাংশ বিরোধী সাংসদ কালো পোশাক পরে এসেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এর সমালোচনা করে বলেছেন, “গোটা বিশ্বে ভারতের অগ্রগতি ধরা পড়ছে। তা মেনে নিতে পারছে না এই কালো পোশাকধারীরা। পোশাকের মতো, তাদের ভবিষ্যতও অন্ধকারময়।” তীব্র উত্তেজনার মধ্যে দুই কক্ষের কার্যক্রমই দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয়।