Pakistani Minority: মাথা-স্তন কেটে, চামড়া ছাড়িয়ে নৃশংস হত্যা, পাকিস্তানকে সংখ্য়ালঘুদের রক্ষা করতে বলল ভারত

Pakistani Minority: পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে নৃশংস হত্যার প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ফের একবার পাকিস্তানকে তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার আহ্বান জানালো ভারত।

Pakistani Minority: মাথা-স্তন কেটে, চামড়া ছাড়িয়ে নৃশংস হত্যা, পাকিস্তানকে সংখ্য়ালঘুদের রক্ষা করতে বলল ভারত
নির্মম অত্যাচারের শিকার দয়া ভীল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2022 | 12:37 AM

নয়া দিল্লি / ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে নৃশংস হত্যার প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ফের একবার পাকিস্তানকে তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার আহ্বান জানালো ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, “আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন দেখেছি। আমাদের কাছে এই ঘটনা সুনির্দিষ্ট কোনও বিবরণ নেই। তবে আমরা আরও একবার বলছি যে, পাকিস্তানের উচিত তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা। তাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং সুস্থতা নিশ্চিত করা পাক সরকারের দায়িত্ব।” এদিন দয়া ভীল নামে এক পাক সংখ্যালঘু মহিলাকে নির্মমভাবে হত্যার খবর এসেছে। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁকে মাথা এবং স্তন কেটে হত্যা করা হয়। এমনকি, তার মাথা থেকে চামড়াও ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

এই হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পাকিস্তানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সিন্ধের পাকিস্তান পিপলস পার্টির সেনেটর কৃষ্ণা কুমারী নিজে নিহত দয়া ভীলের গ্রামে ছুটে যান। পরে তিনি টুইট করে বলেন, “৪০ বছরের বিধবা দয়া ভীলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। খুব খারাপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তাঁর দেহ। তাঁর মাথাটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। বর্বররা মাথা থেকে মাংস খুবলে তুলে নিয়েছিল। তাঁর গ্রামে ঘুরে এসেছি। সিনঝোরো এবং শাহপুরচাকর থেকে পুলিশের দলও সেখানে পৌঁছেছে।” এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিন্ধ পুলিশ একটি যৌথ তদন্ততকারী দল গঠন করেছে বলে জানা গিয়েছে।

পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর), সিন্ধ প্রদেশের সিনঝোরো শহরে। ৪০ বছরের মহিলার স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। সূত্রের খবর তাঁর ৩ মেয়ে এবং ১ ছেলে আছে। মাথা এবং স্তন কেটে ফেলে নৃশংসভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তরা এমনকি তাঁর মাথা থেকে ত্বক ছাড়িয়ে নিয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। এরপর দয়া ভীলের মৃতদেহ এবং কাটা মাথাটি একটি সড়িষার ক্ষেতে ফেলে তারা চলে যায়। তাঁকে বাড়ি না ফেরায় তাঁকে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন তাঁর ছেলে সুমার। তিনিই দয়া ভীলের বিকৃত দেহ আবিষ্কার করেছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সুমার বলেছেন, “যেভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সেটাই আমাদের জন্য সবথেকে বেদনাদায়ক। মা ফিরে না আসলে আমরা তাঁকে খুঁজতে বের হয়েছিলাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর ক্ষেতে তাঁর বিকৃত দেহ পেয়েছিলাম।”