২০২২-এ ভারতের এক অন্যতম প্রাপ্তি জি-২০ সভাপতিত্ব। ১ ডিসেম্বর থেকে সেই সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। আগামী এক বছরে জি-২০ বৈঠক বসবে ভারতে। সম্মেলনের থিম হবে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’।
দেশের মোট ৫৫ টি জায়গাকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যেখানে এক বছর ধরে ২১৫ টি বৈঠক হবে, যাতে উপস্থিত থাকবেন জি-২০ সদস্য দেশগুলির মন্ত্রী ও আধিকারিকরা। কলকাতাতেও বসবে বৈঠক। ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে হবে শীর্ষ সম্মেলন।
এই সভাপতিত্ব পাওয়ার বিষয়টা ভারতবাসীর জন্য গর্বের বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের ১০০ সৌধে আলো জ্বালিয়ে সেই প্রাপ্তি উদযাপন করেছে ভারত।
এই সভাপতিত্ব ভারতে একাধির ক্ষেত্রে নতুন দরজা খুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেউ বলছেন, পর্যটনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, কেউ বলছেন বাণিজ্যে নতুন পথ খুলে যাবে ভারতের সামনে।
সম্মেলনে যাতে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়, সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। UGC-র তরফে সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিশ্বমানের প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা দিতে এগিয়ে আসেন ছাত্রছাত্রীরা।
জাতীয় ফুল হিসেবে পদ্মের ছবিকেই জি-২০ সম্মেলনের লোগোয় ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু লোগো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর দাবি, জাতীয় পশুর ছবিও ব্যবহার করা যেতে পারত।
তবে সব বিতর্ক দূরে ঠেলে এখন দেশজুড়ে সাজো সাজো রব। হাতে এক বছরেরও কম সময়। শীর্ষ সম্মেলনে ভারতে আসবেন একাধিক রাষ্ট্রনেতা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ভারতে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। তাই আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চায় না ভারত।