টিকাকরণের শীর্ষে চিন-আমেরিকা, পিছিয়ে পড়েছে ‘ফার্ম অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ ভারত
আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটার তথ্য অনুযায়ী সাপ্তাহিক টিকাকরণের গড়ে শীর্ষে চিন।
নয়া দিল্লি: করোনা রোখার তিন মারণ অস্ত্র রয়েছে দেশের হাতে। সেই ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে আশা দেখছেন প্রত্যেকে। দেশেও জোর কদমে চলছিল করোনা টিকাকরণ। কয়েকদিন আগেও করোনা টিকাকরণের সাপ্তাহিক গড়ে প্রথম ছিল ভারত। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। করোনা টিকার ঘাটতিতে জেরবার গোটা দেশ। একাধিক রাজ্যের অভিযোগ, পর্যাপ্ত টিকার জোগান নেই। তাই সংক্রমণ যখন একেবারে শীর্ষে, তখনই টিকার অভাবে ভুগছে গোটা দেশ। সাপ্তাহিক টিকাকরণে চিন বা আমেরিকার চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ভারত।
সাপ্তাহিক টিকাকরণের গড়ে কে কোথায়?
আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটার তথ্য অনুযায়ী সাপ্তাহিক টিকাকরণের গড়ে শীর্ষে চিন। সেখানে ৭ দিনের গড়ে টিকা পাচ্ছেন সাড়ে ৩৭ লক্ষ মানুষ। আমেরিকাতে এক সপ্তাহের গড়ে টিকা পাচ্ছেন সাড়ে ৩৩ লক্ষ মানুষ। সেখানে ভারতে ৭ দিনের গড়ে টিকা পাচ্ছেন ৩১.২ লক্ষ মানুষ। সারা বিশ্বকে টিকা দিয়েছে ভারত। ভারতেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদন কেন্দ্র। তাই ভারতকে ‘ফার্ম অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ তকমা দেন অনেকে। তারপরও টিকায় এহেন ঘাটতির ফলে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।
এ বার প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন টিকাকরণে পিছিয়ে পড়ল ভারত। তার উত্তর হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমের দিকে টিকাকরণের অনীহার ফলে দ্রুততা কমেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে যখন সংক্রমণের ভয়ে মানুষ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে লম্বা লাইন করল, তখনই দেশে টিকা নেই। এই কারণেই দেশের টিকাকরণের গতি স্লথ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টিকা উৎসব পালন করার। সেই ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিলও টিকা উৎসব পালিত হয়েছে। কিন্তু সেই টিকা উৎসবে সাপ্তাহিক গড়ের থেকেও কম টিকাকরণ হয়েছে। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে গড়ে দৈনিক টিকা পাচ্ছিলেন ৩৬.৬ লক্ষ মানুষ। আর টিকা উৎসবের ৪ দিনে মোট দেওয়া হয় টিকার ১.২৮ কোটি ডোজ়। অর্থাত্, দিনে টিকা পেয়েছেন ৩২ লক্ষ মানুষ, যা সাপ্তাহিক গড়ের থেকে অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন: করোনা কাঁটায় স্থগিত আইআইটি-জেইই পরীক্ষা