Bhargavastra Micro Missile: ছোট প্যাকেট বড় ধামাকা! শত্রু নিধনে ‘বাচ্চা’ মিসাইল বানিয়ে ফেলল ভারত
Bhargavastra Micro Missile: ভার্গবাস্ত্রের লঞ্চার থেকে একসঙ্গে পরপর ৬৪টা মাইক্রো মিসাইল ছোড়া যায়। মাটি থেকে ৪০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় ও আড়াই কিলোমিটার দূর পর্যন্ত মুভিং টার্গেটে নিখুঁত হিট করতে পারে এই অস্ত্র। মিসাইল লঞ্চারের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড করা রয়েছে বিশেষ রেডার।
নয়াদিল্লি: ক্রুজ, ব্যালাস্টিক, সুপারসনিক, হাইপারসনিক – অনেকরকম মিসাইলের কথা তো শুনেছেন। মাইক্রো মিসাইলের কথা কখনও শুনেছেন কি? বিশ্বের প্রথম মাইক্রো মিসাইল সিস্টেম তৈরি করে ফেলল ভারত। ইতিমধ্যে সফল হয়েছে পরীক্ষাও। এর নাম ভার্গবাস্ত্র।
ওড়িশার গোপালপুরের ফায়ারিং রেঞ্জে নতুন এই অস্ত্রের পরীক্ষা সফল হয়েছে। কী কাজ করবে ভারতের মাইক্রো মিসাইল, ভার্গবাস্ত্র? জানা যায়, শত্রুর ড্রোনকে এক নিশানায় ধ্বংস করতে সক্ষম এই মাইক্রো মিসাইল। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ দেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভবিষ্যতে ড্রোনই হবে যে কোনও যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার। তাই, ড্রোন নামাতে মাইক্রো মিসাইলের ব্যবস্থা।
ভার্গবাস্ত্রের লঞ্চার থেকে একসঙ্গে পরপর ৬৪টা মাইক্রো মিসাইল ছোড়া যায়। মাটি থেকে ৪০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় ও আড়াই কিলোমিটার দূর পর্যন্ত মুভিং টার্গেটে নিখুঁত হিট করতে পারে এই অস্ত্র। মিসাইল লঞ্চারের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড করা রয়েছে বিশেষ রেডার। বড় ড্রোন হলে ১০ কিলোমিটার আর ছোট ড্রোন হলে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বেই ভার্গবাস্ত্রের রেডারে ধরা পড়ে যায় তা। তারপর হিট অ্যান্ড কিল।
তবে কিল বা সেটি ধ্বংস করার পদ্ধতি কিন্তু আবার দু-ধরনের। হার্ড কিল আর সফ্ট কিল। হার্ড কিল মানে শত্রুর ড্রোনকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া। আর সফ্ট কিল হল জ্যামারের মাধ্যমে শত্রুর ড্রোনকে ধ্বংস না করে অকেজো করে দেওয়া। গোপালপুরের ফায়ারিং রেঞ্জে এসবেরই সফল পরীক্ষা হয়েছে।
বছর কয়েক ধরেই ডিফেন্সে বেসরকারি লগ্নিতে সরকার উত্সাহ দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। সেই সূত্রেই নাগপুরে চালু হয়েছে ডিফেন্স স্টার্ট-আপ সোলার গ্রুপের কারখানা। তারাই তৈরি করেছে এই ভার্গবাস্ত্র। মাটি থেকে ৫ হাজার ফুট উচ্চতাতেও সমতলের মতোই সে সমান কর্মক্ষম। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এলএসি-তে এই অস্ত্র মোতায়েন করা হতে পারে। আকাশযুদ্ধে এগিয়ে থাকতে মাইক্রো মিসাইলের মতোই ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান তৈরিতেও হাত দিয়েছে ভারত।