Indian Army: কাশ্মীরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, লোক ঢুকছে মায়ানমার থেকেও: সেনাপ্রধান

Army chief Gen Manoj Pandey: আগামী সোমবার (১৫ জানুয়ারি), সেনা দিবস। তার আগে এদিন বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে। সেখানে, জম্মু-কাশ্মীরে নতুন জায়গায় জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি এবং মণিপুরের পরিস্থিতি-সহ যে যে ক্ষেত্রে ভারত নিরাপত্তাগত হুমকির মুখে পড়ছে, সেই প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়েই আলোচনা করেন।

Indian Army: কাশ্মীরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, লোক ঢুকছে মায়ানমার থেকেও: সেনাপ্রধান
জেনারেল মনজ পান্ডেImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jan 11, 2024 | 6:51 PM

নয়া দিল্লি: এর আগে পরিস্থিতি শান্তই ছিল। কিন্তু, গত কয়েক মাস ধরে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে একের পর এক সংঘর্ষে জড়িয়েছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। জঙ্গি মোকাবিলায় গিয়ে সাফল্য এসেছে যেমন, শহিদও হয়েছেন বেশ কয়েকজন জওয়ান। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মুখ খুললেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে। তিনি জানিয়েছেন, গত ৫-৬ মাসে রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি সেনার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী সোমবার (১৫ জানুয়ারি), সেনা দিবস। তার আগে এদিন বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে, জম্মু-কাশ্মীরে নতুন জায়গায় জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি এবং মণিপুরের পরিস্থিতি-সহ যে যে ক্ষেত্রে ভারত নিরাপত্তাগত হুমকির মুখে পড়ছে, সেই প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়েই আলোচনা করেন।

কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, “গত ৫-৬ মাসে রাজৌরি এবং পুঞ্চের পরিস্থিতি এবং সেখানকার সন্ত্রাসবাদ কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনারা দেখবেন, ২০২৩ সালের আগে ওই এলাকায় সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হয়েছিল। ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত এই জায়গাগুলিতে শান্তি বজায় ছিল। কিন্তু এখন, কাশ্মীর উপত্যকায় পরিস্থিতি যত স্বাভাবিক হচ্ছে, আমাদের শত্রুরা এই তুলনামূলক শান্ত জায়গাগুলিতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে। গত তিন বছরে, শুধুমাত্র এই অঞ্চলে ৪৫ জনের মতো সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই ছায়া যুদ্ধ কতটা বেড়েছে। গত বছর এখানে পাঁচবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। প্রতিটিই রুখে দিয়েছে সেনা। এই পাঁচ ক্ষেত্রে ছয় সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে। এমনকি পশ্চিম কাশ্মীরেও প্রায় ১৪ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে।”

অন্যদিকে, পূর্ব প্রান্তে ভারত-মায়ানমার সীমান্তেও অশান্তি বাড়ছে। সীমান্তবর্তী রাজ্য মণিপুরে এমনিই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থতির অবস্থা ভাল নয়। সেই পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সেখানকার বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের লাগাতার সংঘর্ষ। জেনারেল পান্ডে জানিয়েছেন, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতিও সেনার উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গত কয়েক মাসে মায়ানমার সেনা এবং সশস্ত্র সংগঠনগুলির সংঘর্ষে মায়ানমার সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মী নিহত হয়েছেন। মায়ানমার সেনার অনেকে সূীমান্ত পেরিয়ে ভারতেও আশ্রয় নিয়েছেন। সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৪১৬ বলে জানিয়েছেন সেনা প্রধান। তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধু মায়ানমার সেনা নয়, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সদস্যরাও সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে ঢুকে পড়েছে। মণিপুরের পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ। এর মধ্যে মায়ানমার থেকে দলে দলে মানুষ এই পাড়ে আসায়, চাপ বেড়েছে প্রশাসনের।