Remote-Controlled MULE Robot Dogs: বদলে যাবে যুদ্ধটাই, শিগগিরই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে ‘চার পায়ের সৈনিক’!

Remote-Controlled MULE Robot Dogs: কঠিন ভূখণ্ডে মল বহন থেকে শুরু করে নজরদারির কাজে লাগানো যায় এই রোবটগুলিকে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরেই জরুরি ভিত্তিতে এই ধরনের ১০০টি রোবোটিক কুকুর কেনার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। আপাতত, এই ধরনের ২৫টি মিউলস-এর 'প্রি-ডেসপ্যাচ ইন্সপেকশন' সম্পন্ন হয়েছে।

Remote-Controlled MULE Robot Dogs: বদলে যাবে যুদ্ধটাই, শিগগিরই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে 'চার পায়ের সৈনিক'!
এই রোবোটিক কুকুরগুলি যোগ দেবে কলকাতায়Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2024 | 1:44 PM

নয়া দিল্লি: আর বেশিদিন দূরে নেই। দ্রুতই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চলেছে চার পায়ের জওয়ানরা। না কোনো পশু নয়, এগুলি হল কুকুরের আকারে রোবোটিক মাল্টি-ইউটিলিটি লেগড ইকুইপমেন্ট বা মিউলস (MULES)। কঠিন ভূখণ্ডে মাল বহন থেকে শুরু করে নজরদারির কাজে লাগানো যায় এই রোবটগুলিকে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরেই জরুরি ভিত্তিতে এই ধরনের ১০০টি রোবোটিক কুকুর কেনার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। আপাতত, এই ধরনের ২৫টি মিউলস-এর ‘প্রি-ডেসপ্যাচ ইন্সপেকশন’ সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই এই ২৫টি রোবোটিক কুকুর সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চলেছে।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে কেনার জন্য ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করা যায়। তাই, এই মুহূর্তে সীমিত পরিমাণে রোবোটিক কুকুর ক্রয় করা হচ্ছে। যদি রোবোটিক কুকুরগুলি সেনার প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট কার্যকরি হয়, সেই ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এগুলি আরও কিনতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে কিনতে গেলে, তা একমাত্র ভারতীয় সংস্থাগুলির থেকেই কেনা যায়। জানা গিয়েছে দিল্লির এক সংস্থা সেনার জন্য এই রোবোটিক কুকুরগুলি তৈরি করছে।

রোবোটিক কুকুরগুলিতে থার্মাল ক্যামেরা এবং সেন্সর লাগানো আছে। যার ফলে এগুলিকে সহজেই সামরিক নজরদারির কাজে সাগানো যায়। পাহাড়ি অঞ্চলে এবং অন্যান্য দুর্গম ভূখণ্ডে, যেখানে শত্রুপক্ষ গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে, সেখানে সেনা সদস্যদের পাঠালে, তাদের প্রাণের ঝুঁকি থাকে। এই ক্ষেত্রে সেনা সদস্যদের বদলে অভিযানে পাঠানো যেতে পারে এই রোবোটিক কুকুরগুলিকে। উপরন্তু, যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ছোট মাপের মালপত্র বয়ে নিয়ে যেতে পারে তারা। দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে এই রোবোটিক কুকুরগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

রোবোটিক কুকুরগুলিতে হাই-রেজোলিউশনের ক্যামেরা এবং বেশ কিছু সেন্সর লাগানো আছে। যার মাধ্যমে রিয়েল-টাইম তথ্য দিতে পারে। এই প্রযুক্তি থাকায়, এই রোবোটিুক কুকুরগুলিকে কাজে লাগিয়ে, সেনাবাহিনী শত্রুপক্ষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে পারে। রোবোটিক কুকুরগুলিকে ছোট মাপের অস্ত্র দিয়েও সজ্জিত করা যায়। সেই অস্ত্র ব্যবহার করে শত্রুপক্ষর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে রোবটগুলি।

যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রচলিত যুদ্ধের জায়গা নিচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর যুদ্ধ। ডিজিটাল যুগে, যুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করছে রোবোটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চিন। অতি সম্প্রতি তারা তাদের সামরিক মহড়ায় বন্দুকধারী রোবোটিক কুকুরের সামরিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। ৫০ কেজি এবং ১৫ কেজি ওজনের দুই ধরনের রোবট দেখিয়ছে তারা। প্রথম ধরনের রোবোটিক কুকুরগুলিকে লাগানো হবে যুদ্ধের কাজে। আর হামলার ওজনের কুকুরগুলিকে নকশা করা হয়েছে পুনরুদ্ধার অভিযানের জন্য। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে, ভারতকে প্রতি মুহূর্তে চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে। আর সেই তারনাতেই প্রযুক্তি, এআই এবং রোবোটিক্সকে সামরিক বাহিনীতে ক্রমাগত অন্তর্ভুক্ত করে চলেছে ভারত, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।