Indian Railway: ২০৩০ সালের মধ্যেই জিরো কার্বন নির্গমন-এর লক্ষ্যে পৌঁছবে ভারতীয় রেল
বিদ্যুতের খরচ কমাতে রেল স্টেশন, সার্ভিস বিল্ডিং, আবাসিক কোয়ার্টার, এবং কোচগুলিতে এলইডি আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাতাসে কার্বন কমাতে রেলের এলাকাগুলিতে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে।

নয়া দিল্লি: পরিবেশ দূষণ রোধে এবার আরও এক ধাপ এগোল ভারতীয় রেলওয়ে। ২০৩০ সালের মধ্যেই জিরো কার্বন নির্গমন-এর লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে ভারতীয় রেলওয়ে। রেলমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে।
রেলের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ছাদের উপর এবং ফাঁকা এলাকায় প্রায় ১৪২ মেগাওয়াটের সোলার প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১০৩ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুতের প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে ইতিমধ্যে লোকোমেটিভ, ইএমইউ ট্রেনের বিভিন্ন ইউনিট, মেমু ট্রেনের বিভিন্ন ইউনিট সহ কলকাতা মেট্রো রেক এবং বৈদ্যুতিক ট্রেন তৈরির ক্ষেত্রে এই সমস্ত সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের প্ল্যান্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া শব্দ, বায়ু দূষণ রোধে এবং ডিজেল খরচ কমাতে সাধারণ ট্রেনগুলি পরিবর্তিত করা হয়েছে। বিদ্যুতের খরচ কমাতে রেল স্টেশন, সার্ভিস বিল্ডিং, আবাসিক কোয়ার্টার, এবং কোচগুলিতে এলইডি আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাতাসে কার্বন কমাতে রেলের এলাকাগুলিতে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে।
এছাড়া রেলের বিভিন্ন কারখানা, রেলস্টেশন এবং রেলের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য জায়গাতেও সবুজায়ন করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম রেলওয়েতে করিডর স্থাপন সহ বর্জ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প বসানো হচ্ছে। সবমিলিয়ে, বিদ্যুতের খরচ কম করতে এবং পুনর্নবীকরণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ভারতীয় রেল বিশেষ পদক্ষেপ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেল জিরো কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে বলে দাবী রেলের।





