India-China: সেনার সঙ্গে ‘জোট’ ভারতীয় রেলের, এবার সীমান্তে ঘুম উড়বে চিনের

India-China: ৩টি প্রকল্পে জুড়বে মোট ৮ রাজ্যের রাজধানী। সূত্রের খবর, তিন রেলপথের জন্য খরচ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। এ জন্য আলাদা করে জরুরি তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করতেও পিছপা নয় সেনা ও রেল।

India-China: সেনার সঙ্গে ‘জোট’ ভারতীয় রেলের, এবার সীমান্তে ঘুম উড়বে চিনের
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Oct 30, 2024 | 5:48 PM

কলকাতা: সীমান্ত সমঝোতার মাঝেই এলএসি নিয়ে অন্যরকম খবর। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে অভিনব জোট। সেনার সঙ্গে হাতে হাত ভারতীয় রেলের। এলএসি-র কথা মাথায় রেখে তিন প্রজেক্ট এখন রেলের প্রায়োরিটি। সূত্রের খবর, এসএসি-কে কেন্দ্র করে তিনটি রেল প্রকল্প দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নিচ্ছে এনডিএ সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশ, অরুণাচল প্রদেশে তিনটি রেল প্রকল্পই এখন টপ-প্রায়োরিটি। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, অত্যন্ত জটিল ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রেললাইন পাততে নতুন প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে। এলএসি-কে রেলে জুড়তে দু-বছর আগে তিনটি প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছিল রেল।   

সূত্রের খবর, তিনটি প্রকল্পের মধ্যে ভালুকপং থেকে তাওয়াং রেললাইনকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সেনা ও রেল। কারণ, তাওয়াং পর্যন্ত রেলপথের অর্থ এলএসি-তে চিনের ঘাড়ের কাছে পৌঁছে যাওয়া। ২০২২-র এপ্রিলে তিনটি প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ শেষ হয়। ২০২৫-র শেষে তিনটি প্রকল্পেই লাইন পাতার কাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী রেল। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে গোটা উত্তর-পূর্বকেও রেলপথের মাধ্যমে জোড়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। 

৩টি প্রকল্পে জুড়বে মোট ৮ রাজ্যের রাজধানী। সূত্রের খবর, তিন রেলপথের জন্য খরচ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। এ জন্য আলাদা করে জরুরি তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করতেও পিছপা নয় সেনা ও রেল। কিন্তু কেন এই তত্‍রতা? কারণ এলওএসি-র ওধারে রেল নেটওয়ার্ক ঢেলে সাজাচ্ছে চিন। কয়েক বছর আগে তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী নিনচি পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালু হয়। চিন তখনই জানিয়েছিল, এই রেলপথ শুধু সেনা পরিবহণের জন্য। যেখান দিয়ে এই রেল যাচ্ছে, তার থেকে অরুণাচলের নিনচি মাত্র ৪৪ কিলোমিটার। অর্থাত্‍ LAC-র ঘাড়ের কাছেই ড্রাগনের নিঃশ্বাস। ২০২৩-র শুরুতে মার্কিন সংবাদপত্রে দাবি করা হয়, শিনচিয়াং থেকে তিব্বত পর্যন্ত নতুন রেললাইনের কাজে হাত দিয়েছে চিন।

অন্যদিকে শিনচিয়াং থেকে তিব্বত রেলপথের অর্থ, আরও একবার অরুণাচলের খুব কাছে এসে পড়া। প্যাংগং হ্রদের পাশ দিয়ে রেললাইন যাবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে এই প্যাংগং এলাকাতেই হয়েছিল ভারত-চিন সংঘর্ষ। এদিকে এই রেলপথের শুরু তিব্বতের শিগাৎসে অঞ্চল থেকে। তারপর, নেপাল সীমান্ত ধরে এগিয়ে যাবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। এরপরে উত্তরে ঘুরে, আকসাই চিনের মধ্য দিয়ে গিয়ে শেষ হবে শিনজিয়াংয় প্রদেশের হোতানে। এই সব এলাকা থেকে LAC – পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সময় লাগবে বড়জোর দেড় থেকে আড়াই ঘণ্টা। 

অন্যদিকে লাসা-নিনচি রেলপথ প্রায় ৪৩৫ কিলোমিটার লম্বা। গত ১৮ মাসে এই পথে সপ্তাহে তিনটি করে ট্রেন চলছে। LAC – ও ভারতকে নজরে রেখেই কী তিব্বত ও আকসাই চিনে এইভাবে রেল-নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে? চিন স্বভাবতই মুখে সেটা মানছে না। পিএলপি এই রেলপথ কৌশল নিয়ে গ্লোবাল টাইমসে এক দীর্ঘ প্রতিবেদন লিখেছেন পিএলএ-র এক আধিকারিক। সেই প্রতিবেদনে দাবি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে সড়ক ও আকাশে সেনা রসদ সরবরাহ করা অসুবিধাজনক। রেলপথই এ ক্ষেত্রে সেরা উপায়। ট্রেনে করে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নানা যন্ত্রপাতি, অস্ত্র এবং অন্য সামগ্রীও খুব সহজেই সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। তাই কিংহাই-তিব্বত রেলপথের পরে তিব্বতে রেল যোগাযোগের জন্য সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথ তৈরি হচ্ছে। এর পিছনে অন্য কোনও ভাবনা নেই। লিখছেন পিএলএ আধিকারিক জু জুয়ান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে চিন মুখে গালওয়ান সংঘর্ষকে পিছনে ফেলে এগানোর কথা বলছে। কিন্তু বরাবরের মতই তাদের প্রস্তুতি অন্য ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এখন দেখার ভারতের নতুন ভাবনার পর জল কোনদিকে গড়ায়।