এপ্রিলেই দেশে পড়বে করোনার করাল থাবা, দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাসবে ভারত
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত এপ্রিলের দ্বিতীয় অর্ধেই সবচেয়ে বেশি হতে পারে বলে আভাস মিলেছে এই রিপোর্টে।
নয়া দিল্লি: দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (COVID) আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৭৬ জন। ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনার লেখচিত্র। দেশ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখে। এ বার স্টেট ব্যাঙ্কও রিপোর্ট দিয়ে জানাল, দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়েরই ইঙ্গিত। স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশ ভাসবে ১০০ দিন। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ১০০ দিন দাপট থাকবে দ্বিতীয় ঢেউর।
২৩ মার্চ পর্যন্ত দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্ত হতে পারেন ২৫ লক্ষ মানুষ। ২৮ পাতার এই রিপোর্টে স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, লকডাউন ও স্থানীয় বিধিনিষেধ করোনা রোখার ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়নি। মহামারী অবসানে একমাত্র ‘আশার আলো’ হল গণটিকাকরণ। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এ-ও জানিয়েছে, ব্যবসায়িক সূচকও গত সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত এপ্রিলের দ্বিতীয় অর্ধেই সবচেয়ে বেশি হতে পারে বলে আভাস মিলেছে এই রিপোর্টে।
পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা টিকাকরণ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে এই রিপোর্টে। এখন বিভিন্ন রাজ্যে গড়ে ৩৪ লক্ষ টিকাকরণ হচ্ছে। সেই টিকাকরণ ৪৫ লক্ষ করতে বলা হয়েছে এসবিআইর রিপোর্টে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে হানা দিয়েছে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন।’ যা দেশের ১৮টি রাজ্যে ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যেই কনসর্টিয়ামের বিজ্ঞানীরা একটি রিপোর্টে জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের পরই গবেষকদের নজরে এসেছিল মহারাষ্ট্রের দু’টি নতুন মিউটেশন। এগুলি হল E484Q এবং L452R। দু’টি মিউটেশনই অতি সংক্রামক, যা ভ্যাকসিনকেও ফাঁকি দিতে পারে।
অন্তত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নমুনায় এই মিউটেশনের অস্তিত্ব পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে যে ক’টি “ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন” নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তাতে এই মিউটেশন দেখা যায়নি। সেই কারণেই মহারাষ্ট্রের এই জোড়া মিউটেশনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নের তালিকায় ফেলা হয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে এই দু’টি মিউটেশনই দেশের প্রথম ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন।
আরও পড়ুন: এলাকা দখল ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অম্বালায়, ব্যপক গোলাগুলিতে মৃত ২