AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বিরাট এখন বেসরকারি সম্পত্তি’, ফের কি ধ্বংসের দিকে এগোবে ‘কার্গিল নায়ক’?

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে সোমবার জানিয়েছেন, আইএনএস বিরাট এখন বেসরকারি সম্পত্তি।

'বিরাট এখন বেসরকারি সম্পত্তি', ফের কি ধ্বংসের দিকে এগোবে 'কার্গিল নায়ক'?
ফাইল চিত্র
| Updated on: Apr 05, 2021 | 1:54 PM
Share

নয়া দিল্লি: বারবার জলঘোলা হয়েছে ঐতিহাসিক রণতরী আইএনএস বিরাটকে (INS Viraat) নিয়ে। একাধিকবার আদালতের সিদ্ধান্তে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে গিয়েছে বিরাট। আবার কখনও সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল টুকরো টুকরো করা যাবে না বিরাটকে। কিন্তু ফের সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ‘কার্গিল নায়কের’ ধ্বংসের সম্ভাবনা।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে সোমবার জানিয়েছেন, আইএনএস বিরাট এখন বেসরকারি সম্পত্তি। তার ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ভাঙা হয়ে গিয়েছে। তাই তাকে আর এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ায়ের মর্যাদা দেওয়া যাবে না। সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়ে ১০০ কোটি টাকায় আইএনএস বিরাট কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল একটি সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছিল, আইএনএস বিরাটকে তারা সংগ্রহশালায় রূপান্তরিত করবে। তখন আইএনএস বিরাটকে ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

বিরাটকে সংগ্রহশালায় পরিণত করার কথা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথমে গোয়ার সরকাররের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাহাজটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়েছিল এনভিটেক সংস্থা। কিন্তু এনভিটেকের হাতে না এসে মালিকানা যায় শ্রী রাম গ্রুপের কাছে। এরপর শ্রীরাম গ্রুপ, জাহাজটি বিক্রি ও সংগ্রহশালার জন্য অনাপত্তি পত্র দিতে নারাজ হয়। অন্ধ্র প্রদেশ সরকারও রণতরীটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে ভর্তুকি আবেদন করেছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভর্তুকি দিতে রাজি না হওয়ায় ভেসতে যায় সেই পরিকল্পনাও।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে প্রথম ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিরাট। সেই থেকে যুদ্ধ শুরু এই রণতরীর। ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইএনএস বিরাট। ১৯৮৫ সালে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে নেওয়া হয় এই রণতরী থেকে। ১৯৮৬ সালে ভারতে আসে বিরাট। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে করাচি বন্দরের উপর কড়া নজরদারি চালিয়েছে এই রণতরী। সমুদ্রে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ভারতের জল সীমানা রক্ষা করেছে ৩০ বছর। এই রণতরী ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে সমুদ্রে কাটিয়েছে প্রায় ২,২৫২ দিন। যার যাত্রাপথ ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২১৩ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন: পরমবীরের দাবিতেই সম্মতি আদালতের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে তদন্ত করবে সিবিআই