Manipur Army Convoy Attack: মায়ানমারের ক্যাম্পে চলছে প্রশিক্ষণ! মণিপুর হামলায় চিনা যোগের দাবি গোয়েন্দাদের

China Army's Role in Manipur Army Convoy Attack: সূত্রের আরও দাবি, কেবল চিনই নয়, উত্তর পূর্ব ভারতের এই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে হামলা চালাতে সাহায্য করছে মায়ানমার সেনাও। নিজেদের বাহিনীকে পর্যাপ্ত সেনা না থাকায়, সীমান্তে নজরদারি চালাতেও এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সাহায্য করে বলে জানা গিয়েছে।

Manipur Army Convoy Attack: মায়ানমারের ক্যাম্পে চলছে প্রশিক্ষণ! মণিপুর হামলায় চিনা যোগের দাবি গোয়েন্দাদের
উপত্যকায় নিকেশ দুই জঙ্গি। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2021 | 11:15 AM

নয়া দিল্লি: মণিপুরে সেনা কনভয়ে (Manipur Army Convoy Attack) হামলার পিছনে হাত থাকতে পারে লাল ফৌজের (Chinese Army), এমনটাই সন্দেহ গোয়েন্দা বাহিনী। গত সপ্তাহে মায়ানমার সীমান্তের কাছে মণিপুরের চূড়াচন্দপুরে সেনাবাহিনীর কনভয়ে আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় মারা যান এক কর্নেল ও তাঁর স্ত্রী-পুত্র। এছাড়াও কনভয়ে উপস্থিত আরও চার জওয়ানেরও মৃত্যু হয়। সেই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল মণিপুরের নাগা পিপলস ফ্রন্ট (Manipur Naga Peoples Front)।

গত শনিবার মণিপুর নাগা পিপলস ফ্রন্টের পাশাপাশি পিপলস লিবারেশন আর্মিও সেনা কনভয়ে হামলার দায়স্বীকার করে নেয়। এরপরই সন্দেহ তৈরি হয়।  গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পিপলস লিবারেশন আরিমির সদস্যদের হামলার প্রশিক্ষণ দিয়েছে চিনা সেনাবাহিনীই। মায়ানমারের ক্যাম্পে সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ। একইসঙ্গে তাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তাও করা হয়েছে।

সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা বাহিনী মণিপুর সীমানার কাছে অবস্থিত ওই ক্যাম্পের ড্রোন ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই ক্যাম্পে চিনের সেনাবাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্তা উপস্থিত ছিলেন বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বাহিনীর সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতের চিন বিরোধী অবস্থানেই চটেছে বেজিং। তাইওয়ান ও তিব্বতের সঙ্গে চিন-বিরোধী গোষ্ঠীতে ভারত নাম লেখানোর বদলা নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগেও সূত্র মারফত খবর মিলেছিল যে, উত্তর পূর্ব ভারতের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত দেওয়ার নামে ভারতের বিরুদ্ধেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশ চিন।

 মায়ানমারের অন্দরে চিন মদতপুষ্ট যে জঙ্গি সংগঠনগুলি রয়েছে, তাদের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের জঙ্গি সংগঠনগুলির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলেই গোয়েন্দা সূত্রে দাবি। মায়ানমারের ওই জঙ্গি সংগঠনগুলিকেই চিন নির্দেশ দিয়েছে দেশের অন্দরের এই ছোট ছোট জঙ্গি সংগঠনগুলিকে দেশবিরোধী কার্যকলাপে উসকানি দেওয়ার জন্য।

সূত্রের আরও দাবি, কেবল চিনই নয়, উত্তর পূর্ব ভারতের এই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে হামলা চালাতে সাহায্য করছে মায়ানমার সেনাও। নিজেদের বাহিনীকে পর্যাপ্ত সেনা না থাকায়, সীমান্তে নজরদারি চালাতেও এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সাহায্য করে বলে জানা গিয়েছে।

ভারতের তরফে ইতিমধ্যেই মায়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাদের জানানো হয়েছে, উর তাগা অঞ্চলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

শনিবার হামলার পরই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। রবিবার মণিপুরের নাগা পিপলস ফ্রন্ট প্রেস বিবৃতি জারি করে ঘটনার দায়স্বীকার করে নেয় এবং তাদের দাবি পূরণ না হলে আগামিদিনেও হামলা জারি রাখার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। মণিপুরের ওই জঙ্গি সংগঠন জানানো হয়েছিল, সম্প্রতিই  মায়ানমার সীমান্ত থেকে অসম রাইফেলস বাহিনী তাদের সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্যকে ধরপাকড় করে। একাধিকবার তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দাবি করা হয়েছিল। এমনকি, সীমান্ত এলাকায় কোনরকম অভিযান চালানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই কমান্ডার তা শুনতে চাননি। সেই কারণে তারা এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় শিক্ষা না নিলে, অসম রাইফেলস বাহিনীর উপরে ফের হামলা করা হবে।

তবে কর্নেলের স্ত্রী ও ছয় বছরের পুত্রের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ওই জঙ্গি সংগঠন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে কর্নেলের সঙ্গে কনভয়ে যে তাঁর স্ত্রী-পুত্রও রয়েছে, তা তারা জানতেন না। ওই দুইজনের মৃত্যুতে তারা অনুতপ্ত বলেই জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: Weather Update: দক্ষিণে চোখ রাঙাচ্ছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, গোটা সপ্তাহই বৃষ্টিতে ভাসবে এই রাজ্যগুলি