ISRO: প্রতিদিন ১০০-র বেশি সাইবার হামলার সম্মুখীন হয় ইসরো
ISRO Chairman: ইসরোর প্রযুক্তির বিশেষ উন্নতি ঘটেছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, "আগে কেবল একটি স্যাটেলাইটের উপর নজর রাখা হত। এখন একসঙ্গে অনেকগুলি স্যাটেলাইটের উপর পর্যবেক্ষণের সফটওয়্যার পদ্ধতি এসেছে। যা এই ক্ষেত্রে ইসরোর উন্নতিকে ইঙ্গিত করে। কোভিডের সময়ও দূর থেকে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। যা প্রযুক্তির উন্নতির পরিচয় দেয়।"
কোচি: বর্তমানে সাইবার হামলার কবলে সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাও। সাইবার প্রতারকদের হানার কবল থেকে রেহাই পায় না ইসরোও। প্রতিদিন শতাধিক সাইবার হামলার (Cyber attack) কবলে পড়তে হয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে (ISRO)। এমনই জানিয়েছেন খোদ ইসরোর চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ।
কেরল পুলিশ ও তথ্য সুরক্ষা গবেষণা অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কোচি শহরে দু-দিন ব্যাপী ১৬ তম আন্তর্জাতিক সাইবার কনফারেন্স শুরু হয়েছে। সেই কনফারেন্সেই সাইবার হামলা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানালেই ইসরো প্রধান। তিনি বলেন, “প্রতিদিন ১০০-র বেশি সাইবার হামলার মোকাবিলা করতে হয়। এই ধরনের হামলা প্রতিহত করার জন্য শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা নেটওয়ার্কে সজ্জিত ইসরো।” রকেট প্রযুক্তি, যেখানে আল্ট্রা মডার্ন সফটওয়্যার ও চিপ-নির্ভর হার্ডওয়ার ব্যবহার করা হয়, সেখানে সাইবার হামলার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলেও জানিয়েছেন এস. সোমনাথ। তাই সাইবার হামলা ঠেকাতে রকেটের ভিতর ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার চিপের নিরাপত্তার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয় এবং সর্বক্ষণ নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ইসরোর প্রযুক্তির বিশেষ উন্নতি ঘটেছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “আগে কেবল একটি স্যাটেলাইটের উপর নজর রাখা হত। এখন একসঙ্গে অনেকগুলি স্যাটেলাইটের উপর পর্যবেক্ষণের সফটওয়্যার পদ্ধতি এসেছে। যা এই ক্ষেত্রে ইসরোর উন্নতিকে ইঙ্গিত করে। কোভিডের সময়ও দূর থেকে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। যা প্রযুক্তির উন্নতির পরিচয় দেয়।” এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে স্যাটেলাইট সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে বিশেষ সাহায্য করে। সব স্যাটেলাইট বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে এগুলির সাইবার নিরাপত্তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।” উন্নত প্রযুক্তি একইসঙ্গে ‘আশীর্বাদ’ ও ‘হুমকি’ বলেও জানান ইসরো প্রধান। তাই সাইবার অপরাধীদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে শেষ পর্যন্ত অনেক গবেষণা ও কঠোর পরিশ্রম করতে হয় বলেও জানান তিনি।
সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি কেরল সরকারও গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং এই রাজ্য আদর্শ হয়ে উঠেছে বলে জানান কেরলের মন্ত্রী পি রাজীব। তিনি বলেন, “সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজ্যে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি স্থাপনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে কেরল সরকার। কেরল এমন একটি রাজ্য, যেখানে কে-ফোন-এর মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে ইন্টারনেট নিশ্চিত করা হয়।” এছাড়া C0c0n সাইবার নিরাপত্তা সেক্টরের ক্ষেত্রে আদর্শ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সাইবার বিশেষজ্ঞ গড়ে তুলতে সক্ষম বলেও জানান মন্ত্রী।