ISRO: পৃথিবী পর্যবেক্ষণের স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে গেল ইসরোর ক্ষুদ্রতম রকেট!
ISRO: শুক্রবার (১৬ অগস্ট), আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট-৮ বা ইওএস-৮ (EOS-8) উৎক্ষেপণ করল ইসরো। তবে, এই অভিযানে এই স্যাটেলাইটটি নয়, সকলের চোখ ছিল এর বাহক, 'স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল-03'-এর দিকে। কারণ, এটিই হল ইসরর তৈরি সবথেকে ছোট রকেট। অতি সম্প্রতি, ইসরো এই রকেটটি তৈরি করেছে।
শ্রীহরিকোটা: স্বাধীনতা দিবসের পরদিনই আরও এক সাফল্য ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর। শুক্রবার (১৬ অগস্ট), আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট-৮ বা ইওএস-৮ (EOS-8) উৎক্ষেপণ করল ইসরো। তবে, এই অভিযানে এই স্যাটেলাইটটি নয়, সকলের চোখ ছিল এর বাহক, ‘স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল-03’-এর দিকে। কারণ, এটিই হল ইসরর তৈরি সবথেকে ছোট রকেট। অতি সম্প্রতি, ইসরো এই রকেটটি তৈরি করেছে। ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের সকালেই এই রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু, কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য তা করা যায়নি। তার বদলে, এদিন অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের প্রথম লঞ্চ প্যাড থেকে, সকাল ৯টা বেজে ১৯ মিনিটে যাত্রা করে রকেটটি। ইসরো জানিয়েছে, এই উৎক্ষেপণ একেবারে সফল।
গত বেশ কয়েকবছর ধরেই ছোট আকারের রকেট তৈরি নিয়ে কাজ করছে ইসরো। এই অভিযান,ইসরোর মিশনটি স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের চূড়ান্ত সংস্করণের প্রথম উড়ান। তাই, উৎক্ষেপণের আগে একটু চাপেই ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানরা। ৩৪-মিটার লম্বা এই রকেটটি ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের ছোট উপগ্রহগুলি বহন করতে পারে। ছোট আকারের স্যাটেলাইটগুলিকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করার জন্যই এই রকেটটির নকশা করা হয়েছে। এদিন রকেটটি তিনটি মূল পেলোড নিয়ে উড়ল। এই তিনটি পেলোড হল – ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল ইনফ্রারেড পেলোড, গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-রিফ্লেক্টোমেট্রি পেলোড এবং এসআইসি ইউভি ডসিমিটার। এই অভিযান সফল হলে ইসরোর ক্ষুদ্রতম রকেটটির উন্নয়ন সম্পূর্ণ হবে।
Kudos team #ISRO for the successful launch of SSLV-D3/EOS-08 Mission. With the personal intervention & patronage provided by PM Sh @narendramodi, Team @isro has been able to carry one success after the other in a serial manner. pic.twitter.com/9AJ5cgcNhq
— Dr Jitendra Singh (@DrJitendraSingh) August 16, 2024
পাশাপাশি, এই অভিযানের মাধ্যমে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা, নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের স্যাটেলাইট লঞ্চিং ক্ষমতারও পরিচয় পাবে বাকি বিশ্ব। যা ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বরাত পেতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ছোট আকারের স্যাটেলাইটগুলি সাধারণত বিপর্যয় পর্যবেক্ষণ, পরিবেশগত নজরদারির মতো কাজে লাগানো হয়। এর আগে, ইসরো বলেছিল, এই অভিযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্যগুলি হল – একটি মাইক্রোস্যাটেলাইট নকশা করা এবং তৈরি করা, মাইক্রোস্যাটেলাইট বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পেলোড যন্ত্র তৈরি করা এবং ভবিষ্যতের অপারেশনাল স্যাটেলাইটের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার।
এসএসএলভি-ডি৩-তে যে আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইটটি রয়েছে, তা তৈরি করা হয়েছে একটি মাইক্রোস্যাটেলাইট বা আইএমএস-১ বাসে। এর মিশন লাইফ এক বছরের, অর্থাৎ, এক বছর ধরে মহকাশে থাকবে স্যাটেলাইটটি। ১৭৫.৫ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি প্রায় ৪২০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করতে পারে। যে পেলোডগুলি রয়েছে স্যাটেলাইটটিতে, সেগুলি আসন্ন গগনযান মিশনে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে। এই সাফল্যের জন্য এসএসএলভি-ডি৩ টিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
#WATCH | ISRO successfully launched the third and final developmental flight of SSLV-D3/EOS-08 mission, from the Satish Dhawan Space Centre in Sriharikota, Andhra Pradesh.
ISRO chief S Somanath says, “…The third developmental flight of SSLV – SSLV-D3/EOS-08 has been… pic.twitter.com/nnt8ZldIIp
— ANI (@ANI) August 16, 2024