Govt vs Twitter: নিয়ম লঙ্ঘনের আভিযোগে খোদ তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করল টুইটার!
Govt vs Twitter: তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ খোদ সামনে আনলেন সেই অভিযোগ। কপিরাইটের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে টুইটার (Twitter)।
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টুইটারের (Twitter) সংঘাত দিনের পর দিন প্রকট হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও (Ravi Shankar Prasad) একাধিকবার ভারতীয় আইন মেনে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মাইক্রোব্লগিং সাইটকে। আর এ বার টুইটারের নিয়মজালে আটকে পড়লেন খোদ তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী। ‘এক ঘণ্টার জন্য আমাকে টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি’, এমনই অভিযোগ সামনে আনলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। শুক্রবার এই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কপিরাইটের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তাঁর অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করে দেয় টুইটার।
জানা গিয়েছে, একটি সংবাদমাধ্যমের বিতর্কমূলক অনুষ্ঠানের ক্লিপ শেয়ার করেছিলেন মন্ত্রী। আর তাতেই উঠেছে কপিরাইটের নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ। কেন্দ্রের সঙ্গে টুইটারের সংঘাত প্রথম নয়। চলতি মাসেই ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি নীতি না মানার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন সংস্থাকে কড়া বার্তা দেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। কেন্দ্রের নয়া আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতি এর ভৌগলিক অবস্থানের মতোই বিশাল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় সহযোগিতায় সামান্য বিষয়ও বড় আকার ধারণ করতে পারে, বিশেষ করে ভুয়ো খবরের ক্ষেত্রে। এই গাইডলাইন আনার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল এই বিষয়টি।’ তিনি টুইটারকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, টুইটার নিজেকে বাক স্বাধীনতার ধ্বজাধারী বলে মনে করতে পারে না। তনি অভিযোগ করেছিলেন, ইচ্ছাকৃত এই গাইডলাইন অনুসরণ করেনি টু্ইটার। একইসঙ্গে ব্যবহারকারীদের সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন।
অভিযোগে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘আমেরিকার ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইন ভঙ্গ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন যখন মন্ত্রী ও তাঁর টিম লগ ইন করতে যান, তখন একটি বার্তা ভেসে ওঠে স্ক্রিনে। সেখানে লেখা ছিল, ‘আপনার টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে। আপনার পোস্ট করা কনটেন্টে ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। রবিশঙ্কর প্রসাদের পাল্টা দাবি, টুইটারের এই পদক্ষেপ ভারতে আইটি আইন লঙ্ঘন করেছে। আইন অনুযায়ী আমার নিজের অ্যাকাউন্ট ব্লক করার আগে আমাকে একটি নোটিস দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: ‘আগে হলফনামা গ্রহণের আবেদন করুন হাইকোর্টে’, মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীকে বলল সুপ্রিম কোর্ট
চলতি মাসেই আইনি রক্ষা কবচ হারায় টুইটার। কেন্দ্রের নয়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইন না মানায় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেয় কেন্দ্র। অন্য দিকে, গাজিয়াবাদকাণ্ডে উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কেন্দ্রের তরফেও জানানো হয়েছে, ওই বিতর্কিত পোস্টটি যিনি করেছেন, তার পাশাপাশি টুইটারকেও আইনি শাস্তির মুখে পড়তে হবে। টুইটারের আইনি সুরক্ষা তুলে নেওয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ তখন সাফ জানিয়েছিলেন, গত ২৬ মে কেন্দ্রের তরফে যে নয়া গাইডলাইন জারি করা হয়েছিল, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে টুইটার। সোশ্যাল মিডিয়া ওই সংস্থাকে সুযোগ দেওয়া হলেও তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই সেই নিয়ম মানেনি।