Japanese Encephalitis: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস, অসমে মৃত ১১
Assam: মশাবাহিত রোগ হল জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস। গত তিন মাসে কেবল বিশ্বনাথ মহকুমার সোনিতপুর জেলায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন।
গুয়াহাটি: একে রামে রক্ষে নেই, তায় সুগ্রীব দোসর! ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা। বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে অসমে (Assam) আতঙ্ক বাড়াচ্ছে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস ( Japanese Encephalitis)। ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে নাবালকও রয়েছে। এছাড়া সংক্রমিত ২৫০-র বেশি মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অসম সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেশব মহন্ত বলেন, “চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আমরা এই রোগ প্রতিরোধের সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এই রোগের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কেউ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করালে আমরা ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ দেব।”
মূলত, মশাবাহিত রোগ হল জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস। গত তিন মাসে কেবল বিশ্বনাথ মহকুমার সোনিতপুর জেলায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৮ সাল থেকেই অসমে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে অসমে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিসের জেরে ৪৪২ জনের প্রাণ গিয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ২১৪৫ জন।
হু-র তরফে জানানো হয়েছে, জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস, ডেঙ্গি, হলুদ জ্বর এবং ওয়েস্ট নীলে ভাইরাস মশা থেকেই ছড়ায়। এশিয়ার একাধিক দেশে থাবা বসিয়েছে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস। এই রোগের উপসর্গ প্রথমে বোঝা যায় না। ফলে মৃত্যুর হার বেশি।