Hemant Soren: হেমন্তের সুপ্রিম স্বস্তি! হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দাখিল করা মামলা গ্রহণ শীর্ষ আদালতের
illegal mining: সম্প্রতি হেমন্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পঙ্কজ মিশ্র সহ ২ জনকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
নয়া দিল্লি: বড়সড় স্বস্তির মুখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বেআইনি কয়লা খনন মামলায় (Illegal Mining Case) ঝাড়খণ্ড আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হেমন্তের দায়ের করা পিটিশন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কয়লা খনি সংক্রান্ত তহবিল তছরুপের মামলায় দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্ট মামলা গ্রহণ করার পর তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন, হেমন্ত সোরেন টুইটে লিখেছেন ‘সত্যমেব জয়তে’।
सत्यमेव जयते! pic.twitter.com/38JLdRLmsq
— Hemant Soren (@HemantSorenJMM) November 7, 2022
এই মামলায় বিজেপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কয়লা খনি লিজে নিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে সে রাজ্যের রাজ্যপালকে হেমন্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হলেও রাজ্যপাল রমেশ বাইস এখনও নিশ্চুপ। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে কমিশনের পাঠানো ‘খাম’ দ্রুত খোলার আবেদন জানিয়েছিলেন।
সম্প্রতি হেমন্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পঙ্কজ মিশ্র সহ ২ জনকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জুলাই মাসে পঙ্কজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করার পর ইডির তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল। সেই সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছিল, পঙ্কজের বাড়ি থেকে বেহিসেবি ৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। এমনকী কয়েক মাসে মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের সংবাদমাধ্যম উপদেষ্টা অভিষেক প্রসাদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। পঙ্কজের বাড়ি থেকে হেমন্তের সই করা চেক এবং তাঁর নামে থাকা একটি পাসবুকও উদ্ধার করেছিল ইডি।
আদালতের কাছে দাখিল করা চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, হেমন্তের রাজনৈতিক প্রতিনিধি পঙ্কজ মিশ্র বেআইনি খনি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের বিধানসভা কেন্দ্র বারহাইট থেকে গোটা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ইডি তদন্তকে কেন্দ্রের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির উদাহরণ হিসেবে একাধিকবার তুলে ধরেছেন হেমন্ত। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা প্রধান। হেমন্তের দাবি ছিল, তিনি যদি কোনও অপরাধ করে থাকেন, তবে যেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে সরাসরি গ্রেফতার করা হয়।