Hemant Soren: গ্রেফতার হওয়া ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর বাড়ি থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর চেকবই ও পাসবুক বাজেয়াপ্ত করল ইডি, বিপাকে সোরেন
Hemant Soren: ইডি সূত্রে খবর, গত মার্চ মাসে ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ জেলায় পঙ্কজ মিশ্র ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়। এরপরই তদন্ত শুরু করে ইডি।
রাঁচী: ফের বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ টানাটানির পর এবার ইডির নজরে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। বেআইনি খনি খাদান ও আর্থিক তছরুপের মামলায় এবার মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাঙ্কের পাসবই ও চেকবই তদন্তদের জন্য বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তথা ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতা পঙ্কজ মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েই এই পাসবই ও চেকবুক বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে বেআইনি খদি খাদান ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক তছরুপের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত পঙ্কজ মিশ্র। গত ১৯ জুলাই বেআইনি আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই রয়েছেন ওই নেতা। পঙ্কজ মিশ্রের পাশাপাশি তাঁর দুই সহকারী বাচ্চু যাদব ও প্রেম প্রকাশের নামও উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। গত ৪ ও ৫ অগস্ট ওই দুঅ অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়।
ইডি সূত্রে খবর, গত মার্চ মাসে ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ জেলায় পঙ্কজ মিশ্র ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়। এরপরই তদন্ত শুরু করে ইডি। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রসিকিউশন কমপ্লেন্ট, যা চার্জশিটের সমান, তা বিশেষ আদালতে জমা দেয় ইডি। সেখানেই জেএমএমের প্রাক্তন ট্রেজারারের বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে। রবি কেজরীবাল নামক ওই প্রাক্তন কোষাধক্ষ্য জানিয়েছেন, সাওতাঁল পরগণার পাথর ও বালি খাদান থেকে আদায় করা টাকা যেন ব্যবসায়ী প্রেম প্রকাশের হাতে তুলে দেওয়া হয়, পঙ্কজ মিশ্রকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনই। গত অগস্ট মাসে পঙ্কজ মিশ্রের বাড়িতে যখন তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি, তখন তাঁর বাড়ির আলমারি থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের দুটি একে-৪৭ রাইফেলও উদ্ধার করা হয়। সেই নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে নিজের নামে খনির লিজ নেওয়ার মামলা চলছে। এই মামলার কারণেই তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ হাতছাড়া হতে বসেছিল। বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের রাজ্যপাল রমেশ বইসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে মুখ্যমন্ত্রী পদ রক্ষা করেন হেমন্ত সোরেন।