Jharkhand: খাবার নিয়ে তর্ক, মালিকরা ঘুমিয়ে পড়তেই ধারালো কুড়ুল নিয়ে এল বিশ্বস্ত পরিচারক…
Jharkhand couple axed to death: কিছু দিন আগে খাবার নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। তারপরই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নেবে।
রাঁচি: রাত্রে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন তাঁরা। কী ভয়ানক পরিণতি হতে চলেছে, তা তাঁদের কল্পনাতেও আসেনি। খাবার নিয়ে সামান্য ঝগড়ার জেরে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, ঘুমন্ত এক দম্পতিকে কুড়ুলের আঘাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। হামলা চলেছে তাঁদের মেয়ের উপরও। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলায়।
নিহত দম্পতির নাম রিচার্ড এবং মেলানি মিঞ্জ। গুমলা জেলার মাঝগাঁও জামতলী গ্রামে তাদের বাড়ি। স্থানীয় এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র লাকড়া ওই বাড়িতে পরিচারক হিসেবে কাজ করত। কিছু দিন আগে খাবার নিয়ে রিচার্ড মিঞ্জের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। এরপরই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই ঘটনার ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নেবে। মিঞ্জ পরিবারের উপর হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে।
সেই সিদ্ধান্ত মতো সোমবার গভীর রাতে একটি কুড়ুল দিয়ে পরিবারের সকলের উপর হামলা চালায় সত্যেন্দ্র। প্রথমে ঘুমন্ত অবস্থায় রিচার্ড ও মেলানি মিঞ্জকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে সে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। এরপর হামলা চালায় তাঁদের মেয়ে তেরেসা মিঞ্জের উপর। তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় রাঁচির এক হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। হামলার সময় মিঞ্জ দম্পতির ছেলে একমাত্র অক্ষত অবস্থায় পালাতে পেরেছিল। তিনিই পালিয়ে গিয়ে চিৎকার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। স্থানীয়রা অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র লাকড়াকে কে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে জেরার মুখে, খাবার নিয়ে রিচার্ড মিঞ্জের সঙ্গে ঝগড়ার জেরেই সে ওই পরিবারকে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে, স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তারা আরও জানিয়েছে, সত্যেন্দ্র লাকড়ার দাবি, মিঞ্জ দম্পতিকে হত্যা করার আগে তিনি প্রচুর মদ্যপান করেছিলেন। মদের নেশাতেই ওই পরিবারের সদস্যদের তিনি কুড়ুল মেরেছিলেন। হত্যার হাতিয়ারটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার বিষয়ে একটি হত্যার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই ঘটনার বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।