ফের বিশ্ববিদ্যালয় খোলার নির্দেশিকা JNU’র, ‘পক্ষপাতের’ প্রতিবাদে ময়দানে ছাত্র সংসদ
গত ৪ সেপ্টেম্বর একটি জেএনইউয়ের 'রিওপেনিং' নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
নয়া দিল্লি: অতিমারি আবহ এখনও কাটেনি। তবে দেড় বছর পর ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরতে চাইছে দেশ। অক্টোবর থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনলাইন অথবা অফলাইন মোডে পঠন পাঠন শুরু করার নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। এবার পুনরায় ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। যদিও এই নির্দেশিকা ঘিরে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে জেএনইউ এসএফআই। ছাত্র সংসদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় এই নোটিসের মাধ্যমে সায়েন্স, নন সায়েন্স শাখার মধ্যে ভাগাভাগি তৈরি করছে। এখানে শুধু সায়েন্সের স্টুডেন্টদের আসতে বলা হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলছে ছাত্র সংসদ।
গত ৪ সেপ্টেম্বর একটি জেএনইউয়ের ‘রিওপেনিং’ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘ফাইনাল ইয়ারের যে সকল পিএইচডি স্কলার রয়েছেন, এমনকী 9B পড়ুয়াদের (হোস্টেলে থাকেন যাঁরা এবং ডে স্কলার) যাঁদের পিএইচডি জমা দেওয়ার আছে ৩১.১২.২১ বা তার আগে, তাঁরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেন। একইসঙ্গে পিডব্লুডি (Persons with Disabilities) পড়ুয়ারাও, যাঁরা পিএইচডি করছেন তাঁরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন।
এখানেই আপত্তি জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের। জেএনইউ এসএফআই-এর এক্সিকিউটিভ সদস্য ইলোরা চক্রবর্তী বলেন, “এই রিওপেনিং নোটিসের কোনও মানেই হয় না। সেখানে একটা সায়েন্স-নন সায়েন্স বাইনারি আছে। সেখানে সায়েন্সের পড়ুয়াদের আসতে বলছে, নন সায়েন্স পড়ুয়ারা বাড়িতে বসে আছে এখনও পর্যন্ত। প্রায় দু’বছর হতে চলল। তাঁদের জন্য নোটিসে কিছু বলা নেই। অথচ এমন অনেক কোর্স রয়েছে ২০১৯ ব্যাচের এমফিলের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারছে না। আমরা ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের দাবি করেছিলাম। এখনও এখানে কোভিড কেয়ার সেন্টারের কোনও ব্যবস্থা জেএনইউ করে উঠতে পারেনি। অথচ দিল্লি সরকারকে বলছে ওরা করছে।”
SFI JNU stands in solidarity with JNUSU’s protest call to reopen JNU immediately.
Join us in front of DOS at 11 am on 06/09/2021. We demand that the administration take the necessary steps to bring the students back to campus.
Student unity long live!
SFI-JNU pic.twitter.com/1JvuOVHsmp
— SFI JNU Unit (@sfijnuunit) September 4, 2021
এরপরই কর্তৃপক্ষের এই নোটিসের বিরোধিতায় সরব হয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের পড়ুয়ারা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে নতুন করে প্রতিষ্ঠান খোলার যে নোটিস দিয়েছে, সেখানে কড়া ভাবে জানিয়ে দিয়েছে কোনও কোভিড বিধি ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি তেমনটা করে তা হলে কঠোর ব্যবস্থাও নেবে কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্র সংসদ কোনও রকম প্রতিবাদ কর্মসূচি করলে সে ক্ষেত্রেও একই ধারা প্রয়োগ করা হতে পারে।
নোটিসে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট নিয়ম না বিপর্যয় মোকাবিলা আইন বা Disaster Management Act-এ মামলা দায়ের করা হবে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে ঢোকার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নেগেটিভ আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টও করাতে হবে। যা জমা দিয়ে তার পরই ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি পাবেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি যে সমস্ত পড়ুয়া, শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীরা কনটেনমেন্ট জ়োনে থাকেন, তাঁরাও এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না বলেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ফুলবদলের পথে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা? বিষ্ণুপুরে আজই শুভেন্দু