Joshimath Sinking: এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙা হবে জোশীমঠের হোটেল, দেড় লক্ষ টাকা করে পাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি

Demolition: আগামী এক সপ্তাহের মধ্য়েই জোশীমঠের হোটেলগুলি ভেঙে ফেলা হবে। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা যে ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে জানানো হয়েছে যে সমস্ত পরিবারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

Joshimath Sinking: এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙা হবে জোশীমঠের হোটেল, দেড় লক্ষ টাকা করে পাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি
জোশীমঠে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2023 | 1:51 PM

জোশীমঠ: এক সপ্তাহ আগেও যেখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে ছিল, সেই জোশীমঠ(Joshimath)-ই আজ বসবাসের অযোগ্য। ভূমিধস ও ফাটলের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার। মঙ্গলবার থেকে উত্তরাখণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও হোটেল ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতভর স্থানীয় বাসিন্দা, হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের জেরে সেই কাজ করা হয়নি। সূত্রের খবর, আগামী এক সপ্তাহের মধ্য়েই জোশীমঠের হোটেলগুলি ভেঙে (Demolition) ফেলা হবে। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা যে ক্ষতিপূরণের (Compensation) দাবি করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে জানানো হয়েছে যে সমস্ত পরিবারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

এ দিন সকালেই উত্তরাখণ্ড সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা জানান, জোশীমঠে যে সমস্ত বাড়ি ও হোটেলগুলিতে বড়সড় ফাটল ধরেছে, তাদের বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সেগুলি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে। শীর্ষ আধিকারিক হিমাংশু খুরানা বলেন, বাড়িতে ফাটল ধরার কারণে যে পরিবারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের দেড় লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দ্রুত এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই জোশীমঠের দুটি হোটেল ও একাধিক বাড়ি ভাঙার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা, হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা পথ আটকে বিক্ষোভ দেখান। তারা জানান, বাড়ি ভাঙা হবে, এই মর্মে আগে থেকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি তাদের। কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বা আদৌই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, তাও জানানো হয়নি। আগে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করতে হবে, তারপর বাড়ি ভাঙতে দেওয়া হবে, এই দাবিই জানান তারা।

আজ, বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। তারা বলেন, “আমরা হোটেলগুলিকে ভেঙে ফেলব না, বরং ফাটল ধরা অংশগুলি সংস্কার করে পুনর্নিমাণ করব। ইতিমধ্যেই হোটেল মালিকদের সঙ্গে আমাদের সদর্থক আলোচনা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, এখনও অবধি জোশীমঠের ৭৩১টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। রাজ্য সরকারের তরফে যে বাড়িগুলি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩১টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নজরদারিতে হোটেল ও বাড়িগুলি ভাঙা হবে বলে জানানো হয়েছে।