Kapil Sibal Slams Gandhis: আরএসএসের ভাষায় কথা বলছেন কপিল সিব্বল! দলের ভরাডুবির পর নয়া বিতর্ক
Kapil Sibal Slams Gandhis: কপিল সিব্বলের দাবি তিনি চেয়েছিলেন 'সব কি কংগ্রেস', অথচ কিছু লোক চান 'ঘর কি কংগ্রেস।'
নয়া দিল্লি : কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে আগেও সরব হতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতাদেরই একাংশকে। আর এবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ফের একবার নেতৃত্বের সমালোচনা শোনা গেল দলেরই বর্ষীয়ান নেতার মুখে। নেতৃত্বে থাকা গান্ধী পরিবারকে নিয়ে যে ভাবে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবল, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস শিবির। সিব্বল বিজেপি ও আরএসএসের ভাষায় কথা বলছেন বলেও মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের মানিকরাম টেগোর।
উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। আর তারপর ফের দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা। এরই মধ্যে এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কপিল সিব্বল বলেছেন, ‘আমি চেয়েছিলাম কংগ্রেস হবে সবার (সব কি কংগ্রেস), আর কেউ কেউ চাইছে কংগ্রেস হোক পরিবারের (ঘর কি কংগ্রেস)।’ রবিবার কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের পরই এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে সিব্বলকে। তাঁর দাবি, গান্ধী পরিবার সরে গিয়ে অন্যদের জায়গা করে দিক।
সিব্বলের এই দাবি সামনে আসার পরই সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ মানিকরাম টেগোর। তিনি উল্লেখ করেন, বিজেপি ও আরএসএসের ভাষায় কথা বলছেন সিব্বল। এ ভাবে কংগ্রেস দলটাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, কংগ্রেস আর বিজেপিও চায় যাতে গান্ধী পরিবার সরে যায়। আর সেই একই ভাষায় কথা বলছেন সিব্বল। মানিকরাম টেগোর প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন বিজেপি ও আরএসএস চায় গান্ধীদের সরাতে? কারণ গান্ধীদের ছাড়া কংগ্রেস জনতা পার্টিতে পরিনত হবে।’
সম্প্রতি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী বৈঠকে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা সবাই তা প্রত্যাখান করেন। গত রবিবার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে চলে ওয়ার্কিং কমিটির সেই বৈঠক। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বৈঠক শেষে জানান, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীই নেতৃত্ব দেবেন। পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন তিনিই। তাঁর নেতৃত্বের ওপরে আস্থা রাখছে কংগ্রেস।
আগেও অনেক কংগ্রেস নেতাকেই মুখেই গান্ধী পরিবারের একাধিপত্য নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। আবারও জি ২৩ নেতারা বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে।