Karnataka Hijab Row: ‘জুম্মাবার ও রমজানে হিজাব পরার অনুমতি দিন’, কর্নাটক হাইকোর্টে আর্জি ছাত্রীর

Karnataka Hijab Row: আইনজীবী বিনোদ কুলকার্নী দাবি করেন যে, হিজাব বিতর্কের জেরে গোটা দেশজুড়েই এক অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হিজাব স্বাস্থ্য বা নৈতিকতার বিরোধী নয়। হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারির অর্থ হল পবিত্র কোরানেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

Karnataka Hijab Row: 'জুম্মাবার ও রমজানে হিজাব পরার অনুমতি দিন', কর্নাটক হাইকোর্টে আর্জি ছাত্রীর
কর্নাটক হাইকোর্টে চলছে হিজাব মামলার শুনানি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2022 | 7:31 AM

বেঙ্গালুরু: কিছুতেই মিটছে না কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক(Karnataka Hijab Row)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপিতে হিজাব পরিহিত ৬ ছাত্রীকে সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে বিতর্কের আকার নিয়েছে। রাজ্যের গণ্ডি পার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও সেই বিতর্কের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে। এরইমধ্যেে কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) বৃহত্তর বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একাধিক পিটিশনের শুনানি চলছে। গত সপ্তাহেই আদালতের তরফে মামলার শুনানি শেষ না হওয়া অবধি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানs কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক না পরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারও এই মামলার শুনানি ছিল। এক ছাত্রী কোরানের উদাহরণ টেনে এনে শুক্রবার ও রমজানের (Ramzan) দিনগুলিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে আসার অনুমতি চান।

পিটিশন দাখিলকারী ওই ছাত্রীর দাবি, হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির অর্থ হল পবিত্র কোরানের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা। মামলাকারী মুসলিম ছাত্রীদের তরফে হাজির আইনজীবী বিনোদ কুলকার্নী কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রীতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি জেএম কাজি ও বিচারপতি কৃষ্ণা এস দিক্ষিতের বেঞ্চের উদ্দেশে বলেন, “হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় গরিব মুসলিম মেয়েরাই ভুক্তভোগী হচ্ছে। আমি আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে বলছি যে শুক্রবার অর্থাৎ মুসলিমদের জুম্মাবারে যেন ছাত্রীদের হিজাব পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।”

আইনজীবী বিনোদ কুলকার্নী দাবি করেন যে, হিজাব বিতর্কের জেরে গোটা দেশজুড়েই এক অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হিজাব স্বাস্থ্য বা নৈতিকতার বিরোধী নয়। হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারির অর্থ হল পবিত্র কোরানেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

বুধবার মামলার শুনানিতেও মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী রবি ভর্মা কুমার জানান যে, হিজাব ছাড়াও একাধিক ধর্মীয় চিহ্ন রয়েছে, যা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধর্মের মানুষ পরেন। ওড়না, চুড়ি, পাগড়ি, ক্রস বা টিপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “টিপ বা চুড়ি পরলে তো কাউকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় না! সেগুলো কি ধর্মীয় চিহ্ন নয়?”

উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি কর্নাটকের উদুপিতে ছয় ছাত্রীকে হিজাব পরে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদে ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াার তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। এরপরে রাজ্যের একাধিক সরকারি স্কুল-কলেজেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়। হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে বিষয়টি কর্নাটক হাইকোর্টে পৌছয়। একাধিক আর্জি সুপ্রিম কোর্টেও দাখিল করা হয়। তবে শীর্ষ আদালতের তরফে আপাতত কর্নাটক হাইকোর্টেই মামলার শুনানি চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করবে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: Congress Sleepover in Karnataka Assembly: বিধানসভায় রাত্রিযাপন করে প্রতিবাদ! ‘গেরুয়া পতাকা’ বিতর্কে মন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে অনড় কংগ্রেস