বৃষ্টি হচ্ছে না গ্রামে, কবর খুঁজে তৃষ্ণার্ত মৃতদেহের মুখে জল দিলেন গ্রামবাসীরা!

Lack of Rain: কর্নাটকের বিজয়পুর জেলায় রয়েছে কালাকেরি গ্রাম। কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় এ বছরের বর্ষায় ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে।  আশপাশের এলাকা বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও কালাকেরি গ্রামে নাম গন্ধ নেই বৃষ্টির।

বৃষ্টি হচ্ছে না গ্রামে, কবর খুঁজে তৃষ্ণার্ত মৃতদেহের মুখে জল দিলেন গ্রামবাসীরা!
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 7:55 PM

বেঙ্গালুরু: বর্ষায় বৃষ্টি না হলে মাথায় হাত পড়ে যায় কৃষকদের। ‘বৃষ্টির দেবতা’কে সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন সংস্কার দেখা যায় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। বিভিন্ন প্রাণীদের বিয়ে দেওয়া, যজ্ঞ করা মতো উদ্ভট সংস্কার সামনে আসে প্রায়শই। এই মরসুমের বর্ষা এসে গিয়েছে। সব জায়গায় বৃষ্টি হলেও কর্নাটকের কালাকেরি গ্রামে বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির আশায় ওই গ্রামের বাসিন্দারা যা করেছেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা।

কর্নাটকের বিজয়পুর জেলায় রয়েছে কালাকেরি গ্রাম। কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় এ বছরের বর্ষায় ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে।  আশপাশের এলাকা বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও কালাকেরি গ্রামে নাম গন্ধ নেই বৃষ্টির। তা নিয়েই চিন্তায় সেখানকার গ্রামবাসীরা। তাঁদের মনে হয়, কারও ‘অভিশাপ’-এর জেরে বৃষ্টি থেকে বঞ্চিত তাঁদের গ্রাম। সে সময়ই গ্রামবাসীদের মধ্যে ধারণা জন্মায় গ্রামের মৃতদের মুখে জল দিলে হয়তো বৃষ্টিতে ভিজবে গ্রামের মাটি। সেই মতো মৃত গ্রামবাসীদের কবর খুঁড়ে পাইপ ঢুকিয়ে জল দিয়েছেন তাঁরা। গত এক মাসে এ রকম বেশ কয়েকটি কবর খুঁজে এই কাজ করেছেন তাঁরা।

এই কাজ করতে গত এক মাসে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁর একটি লিস্ট বানিয়েছিলেন তাঁরা। যেহেতু তাঁদের বাড়ির লোকই জানবেন, কোথায় কবর দেওয়া হয়েছিল তাঁদের, তাই ডেকে পাঠানো হয়েছিল বাড়ির লোকেদের। তাঁরা মৃতদের কবর চিহ্নিত করেন যে দিকে মৃতদেহেপ মাথা ছিল, সে দিকে প্রায় ২ ফুট গর্ত করা হয়। তার পর সেই গর্ত দিয়ে জল ঢালা মৃতদের মুখে। ২৫টিরও বেশি কবর খুঁড়ে এ ভাবে জল দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কাজের মাধ্যমেই বৃষ্টি হওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন কালাকেরির বাসিন্দারা।

কী করে এই চিন্তা এল?

কালাকেরি কর্নাটকের একটি ছোট্ট গ্রাম। হাজার দেড়েক লোকের বাস সেখানে। বেশ কয়েক বছর ধরেই বৃষ্টির সমস্যা রয়েছে সেখানে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক অ্যাস্ট্রোলজারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তিনিই গ্রামবাসীদের বলেন, তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির মৃত্যুতেই এই ঘটনা ঘটছে। তাই কোনও মৃতকে জল খাওয়াতে হবে। তার পর থেকেই বৃষ্টির জন্য এই কাজ করেন গ্রামবাসীরা। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি।