Kashmiri Girl: ‘আমি কোনও মালালা নই, আমি আমার ভারতে নিরাপদ ও স্বাধীন’, বলছেন কাশ্মীরি কন্যা ইয়ানা

Kashmiri Girl Yana Mir: ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়ে ওই ভাইরাল বক্তৃতায় ইয়ানাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'আমি কোনও মালালা ইউসুফজাই নই। কারণ, আমি আমার দেশ ভারতে স্বাধীন ও নিরাপদ। আমি আমার জন্মভূমি কাশ্মীরে স্বাধীন ও নিরাপদ, যা ভারতের একটি অঙ্গ। আমাকে কোনওদিন আমার দেশ থেকে পালিয়ে এসে আপনাদের দেশে আশ্রয় নিতে হবে না।'

Kashmiri Girl: 'আমি কোনও মালালা নই, আমি আমার ভারতে নিরাপদ ও স্বাধীন', বলছেন কাশ্মীরি কন্যা ইয়ানা
ইয়ানা মিরImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Feb 24, 2024 | 5:59 AM

তিনি মালালা নন। কোনওদিন হবেনও না। কারণ, তাঁকে কোনওদিন তাঁর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে না। তিনি তাঁর জন্মভূমি কাশ্মীরে নিরাপদ। তিনি কাশ্মীরে স্বাধীনভাবে চলতে পারেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়ে ইয়ানা মিরের এই বক্তব্য তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। চারিদিকে চর্চা হচ্ছে ইয়ানার এই বক্তৃতা নিয়ে। হই হই পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। ইয়ানা মির ভারতের কাশ্মীরের বাসিন্দা। কাশ্মীরেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। কাশ্মীরের এক সমাজকর্মী তিনি।

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়ে ওই ভাইরাল বক্তৃতায় ইয়ানাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমি কোনও মালালা ইউসুফজাই নই। কারণ, আমি আমার দেশ ভারতে স্বাধীন ও নিরাপদ। আমি আমার জন্মভূমি কাশ্মীরে স্বাধীন ও নিরাপদ, যা ভারতের একটি অঙ্গ। আমাকে কোনওদিন আমার দেশ থেকে পালিয়ে এসে আপনাদের দেশে আশ্রয় নিতে হবে না। আমি কোনওদিনও মালালা ইউসুফজাই হব না।’

প্রসঙ্গত, মালালা ইউসুফজাই বর্তমানে ব্রিটেনে থাকেন। নারী শিক্ষার উপর তালিবানি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন মালালা। আর সেই কারণে ২০১২ সালে পাকিস্তানের সোয়াট ভ্যালিতে তালিবানদের হাতে আক্রান্ত হন মালালা। গুলি করা হয়েছিল মালালাকে। সেই হামলার পর মালালা ব্রিটেনে চলে আসেন মালালা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রাপক হন তিনি।

কিন্তু মালালা নিজের দেশ থেকে পালিয়ে ব্রিটেনে বসে ভারত সম্পর্কে যে ধরনের মন্তব্যগুলি করেন, তা নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে কাশ্মীরি কন্যা ইয়ানা মিরের। ভাইরাল ওই বক্তৃতায় ইয়ানাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “কিন্তু আমার আপত্তি আছে, মালালা ইউসুফজাই আমার দেশকে অপমান করছেন। আমার প্রগতিশীল মাতৃভূমিকে ‘নিপীড়িত’ বলছেন। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিদেশি মিডিয়ায় এই ধরনের সমস্ত ‘টুলকিট সদস্যদের’ প্রতি আমার আপত্তি রয়েছে,  যাঁরা কোনওদিন দেখেইনি ভারতের কাশ্মীর কেমন, কিন্তু  তাঁরা ‘নিপীড়নের’ গল্প তৈরি করছেন।”

ইয়ানা মির হলেন কাশ্মীর উপত্যকা থেকে উঠে আসা প্রথম ভারতীয় মহিলা ভ্লগার। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়ের ওই ঝাঁঝালো বক্তৃতায় ইয়ানা সকলের কাছে অনুরোধ করেন, যাতে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতীয়দের মেরুকরণের চেষ্টা বন্ধ করা হয়। ঝাঁঝালো বক্তৃতার শেষ পর্বে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা আমাদের (ঐক্যকে) কিছুতেই ভাঙতে দেব না। আশা করি এবার ব্রিটেনে ও পাকিস্তানে বসবাসকারী কিছু মানুষ আমার দেশকে অপমান করা বন্ধ করবে।”