Kerala High Court: ‘আইনের অপব্যবহার’! দুই পাকিস্তানিকে অব্যাহতি দিল হাইকোর্ট

Pak Nationals: চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন দুই পাকিস্তানি। তাঁদের বিরুদ্ধেই এফআইআর হয় ফরেনার্স অ্যাক্টে। সেই এফআইআর খারিজ করে দিল আদালত।

Kerala High Court: 'আইনের অপব্যবহার'! দুই পাকিস্তানিকে অব্যাহতি দিল হাইকোর্ট
(ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2021 | 3:05 PM

কেরল : চিকিৎসার জন্য ভারতে এসে আইনি জটে আটকে গিয়েছিলেন দুই পাকিস্তানি (Pakistani)। অবশেষে আদালতের হস্তক্ষেপে সেই গেরো থেকে মুক্তি পেলেন তাঁরা। ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টে (Foreigner Act) এফআইআর হয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। কেরল হাই কোর্টের (Kerala High Court) দাবি, এই এফআইআর আইনের অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। কেরল হাই কোর্ট জানাল, সব নিয়ম মেনেই ভারতে এসেছিলেন ওই দুই পাকিস্তানি।

এই মামলায় বিচারপতি কে হরিপাল বলেন, কোনওভাবেই অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণ করা সম্ভব নয়। এই মামলা শুধুই আমাদের দেশের আইনি ব্যবস্থাকে অসম্মান করা। আবেদনকারীরা সব নিয়ম-বিধি গুরুত্ব সহকারে মেনেছেন।

আদালতের তরফ থেকে আরও বলা হয়, যেখানে কোনও বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে অভিযোগ উঠছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের উচিৎ আরও বেশি স্পর্শকাতরভাবে বিষটা দেখা। আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। অপরাধের মামলা দায়ের করার আগে ভালো ভাবে খতিয়ে দেখে দরকার। বিদেশ থেকে উপযুক্ত নথি নিয়ে আসার পরও কোনও অভিযোগ দায়ের করার আগে প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। এই মামলায় তিনদিনের মধ্যে পুলিশের তরফে ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ কমিশনারকে।

ঠিক কী হয়েছিল

চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন দুই পাকিস্তানি। সার্ভিক্যাল স্পাইনাল কর্ডের আঘাত নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। কেরলের এরনাকুলামে আমরি রিহ্যাব ইন্টারন্যাশনালে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর কাছে ছিল তিন মাসের মেডিক্যাল ভিসা।

হাসপাতালে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশকে সব তথ্য জানায় হাসপাতাল। পুলিশ পাকিস্তানি নাগরিকদের ছবি চায়। সেই ছবিও ইমেল করে পাঠায় হাসপাতাল। চিকিৎসা শেষে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলে শারজা হয়ে দেশে ফেরার জন্য চেন্নাই যান তাঁরা। চেন্নাইতে তাঁদের বলা হয়, পুলিশের ছাড়পত্র দেখাতে হবে, নাহলে তাঁরা ফিরতে পারবেন না। আবার তাঁরা কোচি ফেরেন। ছাড়পত্র পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ছাড়পত্র দেওয়ার বদলে পুলিশ জানায়, তাঁদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১১ ও ১৪ নম্বর ধারায় মামলা হয়েছে। ঠিক কী কারণে মামলা সেই যুক্তি স্পষ্ট ছিল না। এরপরই আইনের অপব্য়বহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই দুই পাকিস্তানি।

কী আছে ফরেনার্স অ্যাক্টে?

১৯৪৬-এ অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে এই আইন তৈরি হয়। এই আইন অনুসারে সরকারের হাতে বিদেশ নাগরিকদের ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। ভারতের নাগরিকত্ব নেই এমন ব্যক্তিকেই এ ক্ষেত্রে ‘ফরেনার’ বা বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হবে। যদি অন্য কোনও দেশের নাগরিক ভারতে প্রবেশ করে কোনও বৈধ কাগজ ছাড়া বসবাস করতে থাকে অথবা বৈধ কাগজপত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও যদি ভারতে বসবাস করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার। সে নিজের দেশে না ফিরে যাওয়া অবধি তাকে আটক করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন : হেলিকপ্টারে দিঘা যাওয়ার ফাঁদে পড়েই গায়েব হাজার হাজার টাকা, সরকারের নামে চলছে ভুয়ো ওয়েবসাইট!