Digha Helicopter Service Fraud: হেলিকপ্টারে দিঘা যাওয়ার ফাঁদে পড়েই গায়েব হাজার হাজার টাকা, সরকারের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট!

Fraud Case in Kolkata: টাকা দিয়েও মেলেনি টিকিট। বীমা বাবদ চাওয়া হয় আরও টাকা। থানা-পুলিশ করেও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ মছলন্দপুরের প্রদীপ হালদার।

Digha Helicopter Service Fraud: হেলিকপ্টারে দিঘা যাওয়ার ফাঁদে পড়েই গায়েব হাজার হাজার টাকা, সরকারের নামে  ভুয়ো ওয়েবসাইট!
অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2021 | 1:29 PM

কলকাতা: শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের প্রতারণার জাল। বিশেষত অনলাইন পেমেন্টের (Online payment) নামে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টাকা লুঠ করে চলেছে এক দল প্রতারক। ঝাঁ চকচকে ওয়েবসাইটের ফাঁদে পা দিলেই বিপদ। তবে সেই ওয়েবসাইটে যদি রাজ্য সরকারের নাম থাকে, তাহলে তো বিশ্বাস করবেনই সাধারণ মানুষ। আর ঠিক সেই ফাঁদে পা দিয়েই বিপদে পড়তে হল এক ব্যক্তিকে। হেলিকপ্টারে (Helicopter) দিঘা (Digha) নিয়ে যাওয়ার নাম করেই পাতা হয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। দিনের পর দিন ধরে চালু রয়েছে সেই ওয়েবসাইট। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্য়মে হাতিয়ে নেওয়া হল হাজার হাজার টাকা ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দার প্রদীপ হালদারের সঙ্গে।

কী সেই ওয়েবসাইট

বছর কয়েক আগে হেলিকপ্টারে দিঘা নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ পরিষেবা শুরু করেছিল রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতর। বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে সেই পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। শুধু দিঘাই নয়, মালদা, বালুরঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কিছুদিন চালু থাকার পর বন্ধ হয়ে যায় সেই পরিষেবা। স্বভাবত অনেকেই সেই পরিষেবা নিতে গুগলের সাহায্য় নেন। গুগলে এখনও রয়েছে এমনই একটি ওয়েবসাইট, যার নাম ড্রিম দিঘা হেলিকপ্টার। প্রদীপবাবুও সেই ওয়েবসাইট থেকে বুকিং-এর চেষ্টা করেন।

কী ভাবে হল সেই প্রতারণা?

বন্ধুর সঙ্গে হেলিকপ্টারে দিঘা যাওয়ার জন্য ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বুকিং করার চেষ্টা করেন উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের বাসিন্দা প্রদীপ হালদার। ওয়েবসাইটের রাজ্য সরকারের নাম উল্লেখ করা রয়েছে। তাই বিশ্বাস করেই অনলাইনে বুকিং করার চেষ্টা করেন। ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা অনলাইনে টাকা দিতে বলেন। দুই বন্ধুর যাতায়াত বাবদ ৯০০০ টাকা দেন তিনি। কিন্তু আসেনি টিকিট।

পরে বলা হয়, বীমা বাবদ দিতে হবে আরও কিছু টাকা, যা ফেরৎযোগ্য। সেই হিসেবে আরও ১১০০০ টাকা দেন প্রদীপ বাবু। তাতেও আসেনি টিকিট। এরপরই প্রদীপ বাবু বুঝে যান যে তিনি প্রতারণার শিকার। প্রতারকদের ফোন করলে তাঁরা বলেন, কোনও টিকিট মিলবে না। মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে প্রতারকদের জবাব, মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী কাউকে জানিয়েই কিছু হবে না।

কোন পথে তদন্ত?

এই ঘটনার পরই বাদুড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ জানান প্রদীপ হালদার। তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় বসিরহাটের সাইবার সেলে অভিযোগ জানান। সেখানেও তদন্ত না এগোনোয় কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তদন্তকারীরা ওই ব্য়ক্তির কাছ থেকে সব তথ্য প্রমাণ নিচ্ছেন। আর কারও সঙ্গে এমন প্রতারণা হয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রতারকরা কী বললেন Tv9 বাংলাকে?

Tv9 বাংলার তরফ থেকে প্রতারককে ফোন করে জিজ্ঞাসা করা হলে ফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, অনলাইনে টাকা দিয়েই টিকিট বুক করতে হবে। তাঁদের দাবি, এটাই রাজ্য সরকারের হেলিকপ্টার পরিষেবা। জানান তাঁদের অফিস কলকাতায় নয়, রয়েছে দিঘায়। ফোনে জানান তাঁর নাম আজহার হুসেন

আরও পড়ুন: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি চিঠি, হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু