Omicron Symptoms : দুর্বল শরীর, গলায়-গায়ে ব্যাথার অনুভূতি; ওমিক্রনে আক্রান্ত পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে কী কী উপসর্গ?

Omicron Variant: দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা, যাঁরা প্রথম ওমিক্রন রোগীদের চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁরা বলেছিলেন, এই ভ্যারিয়েন্টটির উপসর্গ পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা।

Omicron Symptoms : দুর্বল শরীর, গলায়-গায়ে ব্যাথার অনুভূতি; ওমিক্রনে আক্রান্ত পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে কী কী উপসর্গ?
ওমিক্রনের উপসর্গ কী? (ছবিটি প্রতীকী)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2021 | 6:27 PM

নয়া দিল্লি : রাজধানীতেও ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন। আজই দিল্লিতে এক ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে দেশে পাঁচ জনের শরীরে ওমিক্রনের হদিস পাওয়া গেল। আজ দিল্লিতে যাঁর শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে, তিনি তানজানিয়া থেকে ফিরেছিলেন। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের শরীরেই করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে। আর প্রত্যেকের মধ্যে উপসর্গের কিছু মিল পাওয়া গিয়েছে।

২ ডিসেম্বর ৩৭ বছর বয়সি তানজানিয়া ফেরত ওই ব্যক্তিকে দিল্লির হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল, তাঁর গলা ব্যথা, দুর্বলতা এবং গায়ে ব্যাথার অনুভূতি ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা, যাঁরা প্রথম ওমিক্রন রোগীদের চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁরা বলেছিলেন, এই ভ্যারিয়েন্টটির উপসর্গ পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা। এর আগে অন্য ১৭ জন করোনা রোগী এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ৬ জন ব্যক্তি যাঁরা ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন উপসর্গহীন।

ওমিক্রন নিয়ে গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। ভারত এবং অন্যান্য দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে পাওয়া উপসর্গগুলি পর্যালোচনা করার পর যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাতে দেখা গিয়েছে ওমিক্রনের উপসর্গগুলি সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই। করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলির উপসর্গের থেকে অনেকটাই আলাদা।

ভারতের প্রথম ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল একজন ৬৬ বছর বয়সি দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকের শরীরে। তিনি একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে কোভিড -১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। প্রথমে ২০ নভেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছিল। তিন দিন পরে আবার বেসরকারি ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট। তিনি সম্পূর্ণ উপসর্গহীন ছিলেন।

ভারতে দ্বিতীয় ওমিক্রন সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল ৪৬ বছর বয়সি এক চিকিৎসকের শরীরে, যাঁর কোনও বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। ২১ নভেম্বর পেশায় অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ওই চিকিৎসক মৃদু উপসর্গ অনুভব করেছিলেন এবং করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কারণ, তাঁর রিপোর্টে সিটি ভ্যালু অনেকটা ছিল, যা খুব বেশি ভাইরাল লোডের দিকে ইঙ্গিত করে। পরে তাঁর শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল।

ভারতে তৃতীয় ওমিক্রনে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায় গুজরাটে। জিম্বাবোয়ের একজন ৭২ বছর বয়সী ব্যক্তি। তিনি গুজরাটের জামনগরে এসেছিলেন। তাঁর শরীরে পাওয়া উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে গলা ব্যথা এবং দুর্বলতা।

এরপর একজন ৩৩ বছর বয়সি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। কল্যাণ ডোম্বিভিলি পৌরনিগমের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে তিনি জাহাজেই ছিলেন, আর সেই কারণে তাঁর টিকাকরণ হয়নি। ২৪ নভেম্বর তাঁর হালকা জ্বর জ্বর অনুভব হয়েছিল।

আজ ৩৭ বছর বয়সি তানজানিয়া ফেরত এক ব্যক্তির দিল্লিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। রাজধানী শহরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের এটিই প্রথম সংক্রমণ। এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “২ ডিসেম্বর হালকা গলা ব্যথা, জ্বর এবং শরীরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলেন তিনি।”

আরও পড়ুন : Parliament Winter Session : বিরোধীদের তুমুল হই হট্টগোলের জের, রাজ্যসভার ৫২ শতাংশ সময় নষ্ট