এবারও শিঁকে ছিড়ল না লালুর, আর্জি জানাতে অপেক্ষা করতে হবে আরও দুই মাস
দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে বিগত কয়েক মাস ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সম্প্রতি তাঁকে দিল্লির এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
রাঁচি: অসুস্থ থাকলেও আপাতত বন্দিদশা কাটছে না বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav)। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি (Fodder Scam) মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি, শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand High court)।
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ফেঁসেছিলেন আরজেডি (RJD) সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন কারাবাসে থাকার পর তিনটি মামলা থেকে জামিন পেয়ে গেলেও দুমকা ট্রেজারি মামলায় তিনি কিছুতেই জামিন পাচ্ছেন না। এর আগেও জামিনের আবেদন করা হলে, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল সাজার অর্ধেক মেয়াদ পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে।
আরও পড়ুন: টুলকিট কাণ্ড: তিন দিনের জেল হেফাজতে পরিবেশকর্মী দিশা রবি
দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে বিগত কয়েক মাস ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সম্প্রতি তাঁকে দিল্লির এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেই সময়ই লালু পুত্র তেজস্বী যাদব জানিয়েছিলেন, সুস্থ হয়ে উঠলেও এই শারীরিক অবস্থায় তাঁকে যাতে জেলে ফেরত যেতে না হয়, সেই কারণেই জামিনের আবেদন করবেন তিনি।
আজ মামলার শুনানিতে বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের তরফে বলা হয়, এই মামলায় লালু প্রসাদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সেই সাজার অর্ধেক সময় পূরণে এখনও দুই মাস বাকি। সেই কারণেই জামিনের আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাঁর আইনজীবী যেন দুই মাস পরে ফের নতুন করে আবেদন করেন।
দুমকা ট্রেজারি মামলায় লালুর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলাতেই সাত বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী’ হতে প্রস্তুত ‘মেট্রো ম্যান’, তৈরি উন্নয়নের ব্লু-প্রিন্টও