Opposition Parties: গোপন তাস লুকিয়ে রেখেছে সরকার! নির্বাচন কমিশনার বিলের বিরোধিতা করতে এককাট্টা বিরোধীরা
Parliament Special Session: কেন্দ্রের তরফে যে চারটি বিল পেশ করা হবে তা হল, আইনজীবী সংশোধনী বিল, সংবাদমাধ্যম ও পিরিয়ডিক্যালস অফ রেজিস্ট্রেশন বিল, পোস্ট অফিস বিল, চিফ ইলেকশন কমিশনার ও অন্য ইলেকশন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলের বিরোধিতা করবে বিরোধীরা।
নয়া দিল্লি: মাসের শুরুতেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, সংসদের বিশেষ অধিবেশন (Special Session of Parliament) বসতে চলেছে। আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর এই অধিবেশন হবে। তবে কী নিয়ে এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হল, তা প্রথমে খোলসা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। “এক দেশ, এক নির্বাচন” (One Nation, One Election) থেকে শুরু করে “দেশের নাম পরিবর্তন”-র মতো একাধিক বিল এই অধিবেশনে পেশ ও আলোচনা করা হতে পারে বলেই জল্পনা-বিতর্ক শুরু হয়। যাবতীয় জল্পনায় ইতি টেনে বুধবার কেন্দ্রের তরফে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়সূচি প্রকাশ করা হয়। যে চারটি বিল পেশ করা হবে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে, তার মধ্য়ে একটি বিল নিয়ে তীব্র আপত্তি বিরোধী দলগুলির। এমনটাই সূত্রের খবর।
কেন্দ্রের তরফে যে চারটি বিল পেশ করা হবে তা হল, আইনজীবী সংশোধনী বিল, সংবাদমাধ্যম ও পিরিয়ডিক্যালস অফ রেজিস্ট্রেশন বিল, পোস্ট অফিস বিল, চিফ ইলেকশন কমিশনার ও অন্য ইলেকশন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলের বিরোধিতা করবে বিরোধীরা। এই বিলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে কেন্দ্রের ক্ষমতা ও একছত্র আধিপত্যই প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশঙ্কা করছে বিরোধী দলগুলি। তাই এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করা হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের তরফেও বলা হয়েছিল, মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল সংসদে আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলে, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আর কোনও ভূমিকা থাকবে না।
অপর একটি সূত্রে খবর, বিরোধীরা আশঙ্কা করছেন, কেন্দ্র এই চারটি বিল পেশ করা হবে বলে জানালেও, এরসঙ্গে অন্য কোনও বিলও পেশ করতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ এবং দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে পরিবর্তন করে ভারত করার বিল পাশ করা হতে পারে।
বুধবার কেন্দ্রের তরফে আলোচ্য বিষয়সূচি প্রকাশ করতেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আক্রমণ করে বলেন, “আসন্ন সংসদ অধিবেশনে সরকার গ্রেনেড লুকিয়ে রেখেছে। শেষ মুহূর্তে এটা প্রকাশ্যে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সনিয়া গান্ধী চিঠি দিয়ে যে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, তাতে মাথা নত করেছে মোদী সরকার। অবশেষে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্য সূচি প্রকাশ করা হল। কিন্তু এই বিষয়গুলি নিয়ে নভেম্বর মাসের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা যেত। আমি নিশ্চিত যে সরকার কোনও গ্রেনেড লুকিয়ে রেখেছে। পর্দার পিছনে অন্য কিছু লুকিয়ে রয়েছে।”